Ranjit Mukherjee on ISL final

মোহনবাগান না জিতলে অবাক হবো

খেলা

রঞ্জিত মুখার্জি
 

২০২০-২১ মরশুমে ফাইনাল খেলেছিল এটিকে মোহনবাগান। সেবার মুম্বাইয়ের কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরে গিয়েছিল। শনিবার ফের আরেকবার আইএসএলের ফাইনাল খেলতে নামবে মোহনবাগান। এবার প্রতিপক্ষ বেঙ্গালুরু এফসি। চলতি মরশুমে মোহনবাগানের বেশ কয়েকটা খেলাই আমি দেখেছি। হায়দরাবাদ এফসি’র বিরুদ্ধে দ্বিতীয় লেগের সেমিফাইনালটা পুরোটাই আমি দেখেছিলাম। আমার মত অনুযায়ী, আইএসএল এই মুহূর্তে ভারতের সেরা প্রতিযোগিতা ধরে নেওয়া হয়, সেই প্রতিযোগিতায় খেলতে যে ধরনের মানসিকতা দরকার, সেটা রয়েছে মোহনবাগানের। দু’বছর ধরে দলের অনেকেই একসঙ্গে মোহনবাগান দলটার হয়ে খেলছে। সমর্থকদের আবেগটা বোঝার ক্ষমতা তৈরি হয়েছে তাঁদের। সবদিক দিয়ে বিচার করলে, আর আমি তো মোহনবাগানের খেলা দেখেছি, ফাইনালটা জিততে না পারলে সেটা অবাকই হব। দলের যা পারফরম্যান্স, তার উপর ভিত্তি করে এ কথা বলাই যায়। ফলাফল কী হবে বলা যায় না। জেতা উচিত সবুজ মেরুনের।


তবে আইএসএলে বেঙ্গালুরুর এফসি’র ধারাবাহিকভাবে পারফরম্যান্স ভালো। এবারই ওরা যেভাবে পিছন থেকে উঠে এসে ফাইনাল খেলছে, তাতে ওদের মনোবল তুঙ্গে থাকবে। সুনীল ছেত্রীর বয়স হলেও ওঁর অভিজ্ঞতা এ ধরনের ম্যাচে ফারাক গড়ে দিতে পারে। দলকে অনুপ্রেরণা দিতে পারবে। দুর্দান্ত খেলছে শিবাশক্তি। রয় কৃষ্ণের মতো গোলস্কোরার আছে, কিছু ফুটবলার তাঁদের ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে এই ধরনের ম্যাচে ফারাক গড়ে দিতে পারে। বেঙ্গালুরুর ফিনিশিং দক্ষতা অনেকটাই ভালো। ফাইনালে বেঙ্গালুরু টক্কর দেবে আশা করছি। এছাড়াও গোলকিপার, ডিফেন্স, মাঝমাঠও কিন্তু ভালো বেঙ্গালুরুর। 


কিন্তু দলগত ফুটবল ও মানসিকতায় এগিয়ে থাকবে মোহনবাগান। কিছুটা দুর্বলতা রয়েছে জুয়ান ফেরান্ডোর দলের। সুযোগ তৈরি করছে, ফিনিশিংয়ের একটা সমস্যা আছে। আত্মবিশ্বাসের অভাবের কারণেই এটা হচ্ছে। ফুটবলারদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর কাজটা করতে হবে কোচকে। আক্রমণভাগের ফুটবলারদের মধ্যে কখনও কখনও এই সমস্যা হয়। আমি নিজে আক্রমণভাগের ফুটবলার ছিলাম বলেই জানি। তবে, মনবীরদের দক্ষতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। প্রত্যেকেরই গোল করার ক্ষমতা রয়েছে। ফাইনালে সুযোগগুলোকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করতে হবে বুমোস, মনবীর ও পেত্রাটোসদের। আমি মনে করি, প্রীতম কোটাল নিজে বাঙালি ফুটবলার। অনেকদিন মোহনবাগানের হয়ে খেলছে। মনবীরদের সঙ্গে নিশ্চয়ই এ বিষয়ে কথা বলবে। প্রেরণা জোগাবেন। আরও একটি জায়গাতে এগিয়ে থাকবে মোহনবাগান, গোলকিপার বিশাল কাইথের জন্য। দলের শেষ প্রহরীর এত শক্তিশালী হলে, যে কোনও দলের মানসিক শক্তি অনেকটাই বেড়ে যায়। আইএসএলের প্রায় সব ম্যাচ খেলেছে। ১২ ক্লিনশিট রেখেছে। বিশালের মতো এরকম গোলকিপার কম দেখেছি, আমাদের সময় ৭৫ সালে তরুণ বসুকে এরকম দেখেছিলাম। বিশালকে আমার ব্যক্তিগতভাবে ভালো লেগেছে। এছাড়াও ডানদিকে আশিস রাই প্রশংসনীয় ফুটবল খেলেছে। আমার নজর কেড়েছে ছেলেটা। গ্লেন মার্টিন্সও উপর নিচ করে খেলে, যা দলের অনেক সাহায্য হয়।
সবশেষে যেটা বলার, এটা ফাইনাল ম্যাচ। বহু মানুষ ম্যাচটা দেখবে। ভালো খেলা হবে, ফাইনালের মতোই।  
 

Comments :0

Login to leave a comment