রুহুল আমিন- রামপুরহাট
বাংলা অনার্স নিয়ে গ্রাজ্যুয়েশন পাশ করে পরীক্ষা দিয়ে অনেক চেষ্টা করেছিলেন একটা সরকারি চাকরির। কিন্তু সে আশা পুরন হয়নি। অবশেষে কয়েকজন মিলে একটি টিউটরিয়্যাল সেন্টার করেছিলেন এবং পাশাপাশি নিজের একবিঘা জমিতে করেছিলেন গাছকে ভালবেসে শখের একটি নার্সারি। সেই নার্সারি এখন তার জীবন জীবিকার একমাত্র অবলম্বন। সেখানেই তিনি সারাদিন গাছের পরিচর্যা করেন এবং খুচরো পাইকারি মূল্যে বিভিন্ন ধরনের ফল ফুলের চারা বিক্রি করে সংসার চালান বীরভূম জেলার মুরারই-১ ব্লকের কনকপুর গ্রামের শিক্ষিত অবিবাহিত বেকার যুবক মহম্মদ মাসুম রেজা।
মুরারই-কনকপুর রাজ্য সড়কের ধারে কনকপুর ঢোকার মুখেই রয়েছে নিউলীফ নার্সারি। বৃহস্পতিবার সেই নার্সারি ঘুরে দেখালেন কি ভাবে নিজেই বিভিন্ন ফল ফুলের কলম করে চারা তৈরি করেন তিনি। মাসুম রেজা জানালেন, বাংলা অনার্স নিয়ে পড়াশুনা করেছেন। অনেক চাকরির পরীক্ষা দিয়ে বহু চেষ্টা করেও মেলেনি চাকরি। ফলে টিউশনি পড়াতে শুরু করেন এবং গাছের কলম কিভাবে তৈরি করতে হয় তার ট্রেনিং নেন। পরে নিজেই সেই নার্সারি তৈরি করেন এক বিঘা জমির উপর। এখন মোটামুটি ভালই বিক্রি হয় ফল ফুলের চারা। বিভিন্ন জাতের আম, কাঁঠাল, লিচু, নারিকেল, আপেলকুল, জামরুল, মালটালেবু, পাতি লেবু, কামরাঙ্গা, সফেদা, ডালিম, পিয়ারা, ড্রাগন প্রভৃতি কলম করে চারা তৈরি করি। এছাড়াও অনেক ধরনের ফুলের চারা তৈরি করি যেমন, বিভিন্ন রঙের গোলাপ, চন্দ্রমল্লিকা, টগর, জবা, বগনভেলিয়া, পিটুনিয়া, পাতাবাহার, গেঁদা, ইনকা, চায়না পাম ইত্যাদি। এছাড়াও আছে ভেষজ গাছ।
তিনি জানান, ‘‘করেছিলাম শখ করে নার্সারি সেই নার্সারিকেই আমার রোজগারের একমাত্র পথ হিসাবে বেছে নিতে হবে ভাবিনি। এই রাজ্য সরকারের আমলে আর চাকরি হবেনা ধরে নিয়েই এই নার্সারি আমার জীবনের একমাত্র পথ। তবে আমাকে অনেক কষ্ট করতে হয় এই কাজে। জুন মাস থেকে অক্টোবর মাসের দিকে ফলের চারা গুলি পাইকাররা এসে নিয়ে যায়। আম সহ বিভিন্ন ফলের চারা বিক্রি হয়েছে গাছ প্রতি দেড়শো টাকা হারে। বীজ, সার, কীটনাশক, লেবার ও সেচ খরচ বাদ দিয়েও লাভ ভালই থাকে’’।
Nursery
নার্সারি উপার্জনের পথ দেখাচ্ছে মুরারই’বের রেজাকে
×
Comments :0