রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত নিরসনে কোনও পদক্ষেপ নির্দিষ্ট করা হয়নি। বার্তালাপের জন্য যৌথ কমিটি গড়া হয়েছে কেবল। তবে পর্যবেক্ষকরা বলছেন, রিয়াধে আমেরিকা-রাশিয়া আলোচনা জমি তৈরি করল ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভ্লাদামির পুতিন বৈঠকের।
বৈঠকে ইউক্রেন বা ইউরোপ অংশ নেয়নি। তবে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী পরিষ্কার জানিয়েছেন যে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন যুদ্ধজোট ‘ন্যাটো’-র তৎপরতা আঞ্চলিক শান্তিকে বিপন্ন করবে।
সৌদি আরবের রিয়াধে লাভরভের উলটোদিকেই ছিলেন আমেরিকার বিদেশসচিব মার্কো রুবিও।
রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মারিয়া জাখরোভা মস্কোয় সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘‘ইউক্রেনকে গোষ্ঠীর সদস্য না করেই কেবল থামতে পারে না ন্যাটো। ভবিষ্যতে গোষ্ঠীর মধ্যে নেওয়া হবে না, একথাও স্পষ্ট করে জানাতে হবে। কেননা ২০০৮’র বুখারেস্টে ন্যাটো ইুক্রেনকে যুক্ত করার লক্ষ্য জানিয়েছিল। এই ঘোষণা না করলে গোটা ইউরোপ অশান্ত থাকবে।’’
রিয়াধ বৈঠকে লাভরভেই নিজেই বলেছেন যে পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন বন্ধ করতে হবে।
এদিন আমেরিকা এবং রাশিয়া, দু’দেশই জানিয়েছে যে ট্রাম্প এবং পুতিনের বৈঠকের কোনও দিন ঠিক হয়নি। তবে মার্কিন বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেছেন, ‘‘দু’দেশই সম্মত হয়েছে যে উচ্চপর্যায়ের যৌথ কমিটি ইউক্রেন সংঘাত থামাতে সক্রিয় ভূমিকা নেবে।’’
রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী লাভরভ পরে বলেছেন, ‘‘আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। আশা করা যায় আমেরিকা স্পষ্ট করে বুঝেছে রাশিয়ার অবস্থান কী। রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের একাধিক বিবৃতির উল্লেখ করে তা স্পষ্ট করা হয়েছে।’’
উল্লেখ্য, পুতিন এর আগে একাধিক দফায় সংঘাতের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার নেতৃত্বাধীন ‘ন্যাটো’-কেই দায়ী করেছেন। পূর্ব ইউরোপে সম্প্রসারণের নীতিতে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় ন্যাটো। পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলি এই উত্তেজনায় মদত দিতে আমেরিকার সঙ্গী থেকেছে বরাবর।
Ukraine US Russia
আমেরিকা বুঝেছে আমরা কী চাই, ইউক্রেন নিয়ে বৈঠকের পর লাভরভ

×
Comments :0