উৎপল মজুমদার- মালদহ
কেরালার ত্রিশূরে বাড়ি ধ্বসে মালদহের তিন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৬টা নাগাদ ত্রিশূর জেলার কোডাকারা শহরে ৪০ বছরের পুরনো একটি ভবন ধসে কমপক্ষে তিনজন পরিযায়ী শ্রমিক নিহত হয়েছেন। পুলিশ সূত্রে পাওয়া খবরের বিবরণে জানা গেছে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে কোডাকারা পঞ্চায়েত অফিসের কাছে অবস্থিত ভবনটি মারাত্মকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। এদিন সকালে যখন শ্রমিকরা কাজে বেরোনোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ঠিক সেই সময় ধসে পড়ে বাড়িটি। সেখানে ১৭ জন পরিযায়ী শ্রমিকের মধ্যে তিনজন ভেতরে আটকা পড়েন। ১৪ জন শ্রমিক কোনওভাবে ধ্বংসস্তূপ থেকে অক্ষত অবস্থায় বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতেরা সকলেই পশ্চিমবঙ্গের মালদহের বাসিন্দা। মৃতদের নাম রবিউল ইসলাম ওরফে রাহুল(২২)। অপরজনের নামও রবিউল ইসলাম ওরফেৎরুবেল(১৮)এই দুজনের বাড়ি কালিয়াচক-৩ ব্লকের ও বৈষ্ণবনির থানার অন্তর্গত পারদেওনাপুর শোভাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার হাজিপাড়া গ্রামে। তৃতীয় জনের নাম আলিম শেখ(৩০)। তিনি বৈষ্ণবনি থানার কুম্ভীরা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোদনটোলা গ্রামের বাসিন্দা।
প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুসারে, গত কয়েকদিন ধরে অবিরাম বৃষ্টিপাতের ফলে ভবনটি মারাত্মকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ার পর ভেঙে পড়ে। পুলিশ জানিয়েছে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায় দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। জেসিবি এবং উদ্ধার সরঞ্জাম মোতায়েন করে উদ্ধারকারীরা দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। উদ্ধারকাজ প্রায় আড়াই ঘন্টা ধরে চলে। আটকে পড়া দুইজনকে খুব দ্রুত উদ্ধার করা হয়। তবে একজনকে ঘটনাস্থলেই মৃত ঘোষণা করা হয়। অন্য দুজন হাসপাতালে নেওয়ার সময় মারা যান। মৃতদেহগুলি ত্রিশুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
চলছে উদ্ধার কাজ।
ঊর্ধ্বতন পুলিশ এবং সরকারি আধিকারীকরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কেন এত শ্রমিককে ল্যাটেরাইট পাথর দিয়ে তৈরি শতাব্দী প্রাচীন ওই ভবনে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তা ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে শ্রম বিভাগের আধিকারীকদের। ত্রিশুরের জেলা শাসক অর্জুন পান্ডিয়ান এবং অন্যান্য শীর্ষ আধিকারীকরা উদ্ধার কাজের সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে, আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
Comments :0