বিশ্বনাথ সিংহ: রায়গঞ্জ
গরমের ছুটির পর সোমবার থেকে স্কুল খুলছে। আশঙ্কা, স্কুল খুললেই মাধ্যমিক স্কুলের বেহাল দশা সামনে আসবে।
এক সপ্তাহ আগেই শিক্ষকদের জন্যে স্কুল খুলে গেছে। এবার ছাত্রছাত্রীদের জন্য খুলবে স্কুল। কিন্তু ক্লাস করতে আসবে কতজন ছাত্রছাত্রী, এই আশঙ্কাতেই আশঙ্কায় ভুগছে বিভিন্ন স্কুল।
মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হওয়ার পর বহু স্কুলে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক নেই। বিশেষত বিজ্ঞান বিভাগে। ভর্তিতে আগ্রহ হারাচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা। প্রতিবার দেখা যাচ্ছে যে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধের পরে খোলার সময় বাড়ছে স্কুলছুটের সংখ্যাও।
ইসলামপুর মহকুমার চাকুলিয়া, গোয়ালপোখর, চোপড়া ব্লকে রয়েছে প্রায় ৮০টি স্কুল। উত্তর দিনাজপুর জেলার মধ্যে ৩টি ব্লকের উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলির মধ্যে মাত্র ৩টিতে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিভাগে পড়ার সুযোগ আছে। শিক্ষার হাল কতটা বেহাল তা সহজেই বোঝা যাচ্ছে এই পরিসংখ্যানেই।
মাধ্যমিক পাশ করে হন্যে হয়ে ঘুরছে একাদশে ভর্তির জন্যে। প্রতিদিন স্কুলে অবিভাবকদের ভিড়। অথচ শিক্ষকের অভাবে একাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি বন্ধ।
বেশ কয়েকজন প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ, সরকারি নিয়মে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনার জন্যে নির্ধারিত আসন আছে, কিন্তু শিক্ষক নেই। এর জন্যে পড়ার সুযোগ নেই। কিন্তু তা নোটিশ দিয়ে জানানো যাবে না। কেননা তাতে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। ফলে নম্বর থাকলেও এই ব্লকগুলির ছাত্র-ছাত্রীরা একাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিষয় নিয়ে পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বিজ্ঞান বিভাগে পড়ানোর ব্যবস্থার দাবিতে সরব হয়েছে নিখিলবঙ্গ শিক্ষখ সমিতি। এবিটিএ’র দাবি, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ব্যবস্থা করতে হবে। চোপড়া, ইসলামপুর, গোয়ালপোখর, চাকুলিয়া ব্লকগুলি-তে ২০২৪ শিক্ষা বর্ষে বিজ্ঞান বিভাগে ছাত্র ছাত্রীরা যাতে পড়তে পারে করতে হবে তার বন্দোব্সত।
এই দাবিতে ইসলামপুর মহকুমায় এআই অফিসের সামনে সম্প্রতি গণস্বাক্ষর অভিযান হয় নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে। এআই অফিসের সামনে কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন ইসলামপুর মহকুমার সভাপতি ভাস্কর কুমার দাস। বক্তব্য রাখেন জেলা সম্পাদক বিপুল মৈত্র, জেলার সহ সম্পাদক অরূপ সরকার, ইসলামপুর মহকুমা সম্পাদক সঞ্জয় মানি, ইসলামপুর জোনাল সম্পাদক জয়ন্ত দে, কেন্দ্রীয় পরিষদের সদস্য কার্তিক পাহান। উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি মল্লিকা সাহা, রায়গঞ্জ মহকুমা সম্পাদক অমিতাভ সরকারও।
Comments :0