ফের বোমা বিস্ফোরণ। বল ভেবে খেলতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণে আহত দুই শিশু। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে আশিকুল ইসলাম ( ৯) ও আব্দুল মমিন ( ৫) খুড়তুতো দুই ভাই বাড়ির পাশে ইট ভাটার কাছে খেলা করছিল। সেখানে তারা বলের মত কিছু দেখতে পায়। হাতে তুলে নিয়ে খেলতে খেলতে বাড়ি ফিরে আসে। বাড়িতে তখন কেউ ছিল না। তারা তাদের ঠাকুরমাকে সেটি দেয়। কিছু বুঝতে না পেরে তাদের শিশুদের ঠাকুরমা সেটিকে বাইরে ফেলে দিতে বলে। আশিকুল বাড়ির বাইরে ছুঁড়ে ফেলতেই প্রচন্ড শব্দে বাড়ির বারান্দায় বোমাটি ফেটে যায়। বিস্ফোরণ দুই শিশুই আহত হয়েছে।
মানিকচকের গোপালপুর অঞ্চলের বালুটোলার এই ঘটনা নতুন নয়। বোমার বেপরোয়া কারবারে বিপন্ন শৈশব। মিনাখা, নরেন্দ্রপুরের মতো আরও জায়গায় আহত এমনকি মারাও যাচ্ছে শিশুরা। বালুটোলাতেই এর আগে বোম ফেটেছে। পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসার সঙ্গে জবরদখলের প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে।
এদিন আশিকুলের ডান চোখের উপরে ও পায়ে আঘাত লাগে। ছোট্ট আবদুলের বাম কপাল ও পায়ে ক্ষত হয়। ঘটনায় প্রচন্ড ভীত ছোট্ট আব্দুল জানায়, খেলতে গিয়ে বাঁশ বাগানের কাছে বলটি পেয়েছিলাম। আমার দাদা আশিকুল বলটি হাতে তুলে নিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে। আমার দাদী বলটি বাইরে ফেলে দিতে বলে। বলটি ফেলতেই সেটি ফেটে যায়। প্রচন্ড আওয়াজ হয়। আমার কপাল ও পায়ে অনেকটা কেটে গেছে। দাদা চোখে ভালো করে দেখতে পাচ্ছে না।
মানিকচকের গোপালপুর অঞ্চলের বালুটোলাকে বোমা তৈরির আঁতুড়ঘড় বলে দাবি করেছিলেন বিরোধীরা। মঙ্গলবারের ঘটনা তারই প্রমাণ দেয়। ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন মানিকচক থানার আইসি পার্থসারথি ঘোষ সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। ছুটে আসেন জেলা পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরাও। গোটা এলাকায় ঘিরে ফেলে পুলিশ। খবর দেওয়া হয় বোম স্কোয়াডে। বোম স্কোয়াডের কর্মীরা রীতিমতো বোম ডিটেক্টর দিয়ে এলাকা জুড়ে তল্লাশি চালায়।
বিরোধীরা বলেছেন, পঞ্চায়েত ভোটের আগে সাধারণ মানুষকে ভীত সন্ত্রস্ত সন্ত্রাস কায়েম করতে এমনটা করছে শাসকদল। পুলিশ প্রশাসনের কাছে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন জানান বামফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ। বামফ্রন্ট নেতা দেবজ্যোতি সিনহা বলেন, বারবার বালুটোলাতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেই চলেছে। তৃণমূল পরিকল্পনা মাফিক সন্ত্রাস কায়েম করতে চাইছে। তিনি বলেন, সন্ত্রাস রুখতে পুলিশ যদি সঠিকভাবে কাজ না করে তাহলে আমরা আদালতে যাবো।
Explosion in Malda
এবার মানিকচক, বোমা ফেটে জখম ২ শিশু
×
Comments :0