Encounter in Chhattisgarh

ছত্তিশগড়ে বাহিনীর গুলিতে হত ৮, নিহত এক জওয়ান

জাতীয়

ছত্তিশগড়ে নারায়ণপুর জেলায় যৌথবাহিনীর অভিযানে অন্তত ৮ জন মাওবাদী নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ছত্তিশগড় প্রশাসন। জানানো হয়েছে যে গুলির লড়াইতে মৃত্যু হয়েছে এক সেনা জওয়ানেরও।
বাহিনী জানাচ্ছে, গত ২ দিন ধরে ছত্তিশগড়ের নারায়ণপুর জেলায় চলছে মাওবাদী ও নিরাপত্তা বাহিনীর লড়াই। শনিবার অবুঝমারহর পাহাড়ি জঙ্গলে মাওবাদী ও নিরাপত্তা বাহিনীর লড়াইয়ে নিহত হয় ৮ জন। তারা মাওবাদী বলে জানিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। জানানো হয়েছে যে গুলির লড়াইতে মৃত্যু হয়েছে এক সেনা জওয়ানের। গুরুতর জখম আরও দুই জওয়ান।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ছত্তিশগড়ের নারায়ণপুর জেলায় রয়েছে অবুঝমারের জঙ্গল। পাহাড়ি উপত্যকার এই জঙ্গল সুবিশাল। সেখানেই অভিযানে নামে নিরাপত্তা বাহিনী। জানা গিয়েছে, নারায়ণপুর, কাঙ্কের, দান্তেওয়াড়া এবং কোন্ডাগাঁও-এই চার জেলার নিরাপত্তা বাহিনী (ডিআরজি, এসটিএফ, আইটিবিপি) ‘মাওবাদী দমন অভিযানে’ নামে। শনিবার সকাল থেকেই জঙ্গলে দুই পক্ষের গুলির লড়াই শুরু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। পুলিশের বক্তব্য, মাওবাদী এবং যৌথবাহিনীর মধ্যে দীর্ঘক্ষণ গুলির লড়াই চলে। পুলিশের দাবি, গুলিযুদ্ধে আট মাওবাদী ছাড়াও সহ এক জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন দুই জওয়ান।
প্রশাসনের বক্তব্য, চলতি বছরে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ১১১ জন মাওবাদী নিহত। এই সংখ্যা ২০১৯ সালের পর সর্বোচ্চ বলে দাবি করা হয়েছে। 
প্রসঙ্গত, মে-তে ছত্তিশগড়ের বিজাপুরে সুরক্ষাবাহিনীর গুলিতে ১২ জন নিহত হন। প্রশাসন নিহতদের মাওবাদী বললেও স্থানীয়রা প্রতিবাদ জানান। তাঁরা অভিযোগ জানান যে স্থানীয় বাসিন্দারা নিহত হয়েছেন বাহিনীর গুলিতে। পুলিশ যদিও সেই বক্তব্য স্বীকার করেনি। 
আদিবাসী অধিকার রক্ষার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন অংশের অভিযোগ, বনাঞ্চল ব্যবসার স্বার্থে কর্পোরেটদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে একের পর এক রাজ্যে। বিপন্ন হচ্ছে আদিবাসী সহ বনাঞ্চলের বাসিন্দারা। প্রতিবাদে নামলে মাওবাদী তকমা সেঁটে দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপি পরিচালিত সরকারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সবচেয়ে বেশি। গত মাসে বিজাপুরে ১২ জনের মৃত্যুর পরও স্থানীয়রা বলেন যে ভুয়ো সংঘর্ষ বা ‘ফেক এনকাউন্টার’ করা হয়েছে।

Comments :0

Login to leave a comment