Bangladesh Left Rally

বাংলাদেশে হিংসা, এপারে উসকানি, কলকাতায় প্রতিবাদ মিছিল বামপন্থীদের

কলকাতা

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু, প্রগতিশীলদের ওপর আক্রমণের প্রতিবাদে মিছিলে মহম্মদ সেলিম সহ বামপন্থী নেতৃবৃন্দ।

লড়াই ভারত বনাম বাংলাদেশের নয়। লড়াই হিন্দু বনাম মুসলমানেরও নয়। লড়াই প্রগতির সঙ্গে প্রতিক্রিয়ার। যারা ইতিহাসকে পিছিয়ে দিতে চায় লড়াই তাদের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার কলকাতায় বামপন্থী দলগুলির মিছিলের শেষে জনসভায় একথা বলেছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। বাংলাদেশে হিংসার প্রতিবাদে এদিন বামপন্থী দলগুলির ডাকে এদিন মিছিল হয় এন্টালি বাজার থেকে পার্ক সার্কাসে বাংলাদেশ উপদূতাবাস পর্যন্ত মিছিল হয়। জনসভা হয় বেকবাগান মোড়ে। অংশ নেন বামপন্থী দলগুলির নেতৃবৃন্দ।
সেলিম বলেন, রাজায় রাজায় বন্ধুত্ব হয় আর দীপু দাস, শেখ রিয়াজুলরা আক্রান্ত হন। বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকার নিষ্ক্রিয়। বাংলাদেশের এমন পরিস্থিতিতেও চুপ প্রধানমন্ত্রী। চুপ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও। তিনি বলেন, ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতিকে প্রতিহত করতে হবে। ধর্ম আগেও ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে। কিন্তু সরকারে বসার জন্য ধর্মকে সিঁড়ি বানালে সেই সিঁড়িতে রক্তের দাগ থাকে চন্দন দাস, দীপু দাস, শেখ রিয়াজুলদের।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ময়মনসিংহে মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক শক্তি দলবেঁধে হত্যা করেছে দীপু দাসকে। আর এরাজ্যের মুর্শিদাবাদে সমশেরগঞ্জে হত্যা করা হয়েছিল চন্দন দাস এবং তাঁরা বাবা হরগোবিন্দ দাসকে। কলকাতার ব্রিগেডে ডিসেম্বরে গীতাপাঠের আসরে রক্তাক্ত হয়েছিলেন হকার শেখ রিয়াজুল। 
এদিন মিছিলে অংশ নিয়েছেন বহু মানুষ। ছিলেন কমবয়সীরা। মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে সীমান্তের দু’পারেই পরাজিত করার স্লোগান উঠেছে। 
সেলিম বলেছেন, সাম্রাজ্যবাদ চাইছে দক্ষিণ এশিয়াকে পশ্চিম এশিয়ার মতো অস্থির করে তুলতে। মৌলবাদী অংশকে মদত দিয়ে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক অংশকে ধ্বংস করতে। তিনি বলেছেন, বিভাজনের রাজনীতি যেখানেই হোক তার শিকার হন শ্রমজীবী সাধারণ মানুষ। 
বামপন্থী নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশে ইসলামিক মৌলবাদী সংখ্যাগরিষ্ঠতাবাদ চলছে। এদেশে হিন্দু মৌলবাদী সংখ্যাগরিষ্ঠতাবাদের আক্রমণ চলছে। বামপন্থীরা এই বিভাজনের বিরুদ্ধে সরব হলে বলা হচ্ছে ধর্মবিরোধী। 
এই রাজনীতির কৌশলকে প্রতিহত করার ডাক দেন তিনি। সেলিম বলেন যে হিংসা, ঘৃণাম বিদ্বেষ ছড়ানোর কাজ কোনও ধর্মই হতে পারে না। ধর্মের বর্ম পরে অন্যায় করা হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী সদস্য এবং কলকাতা জেলা সম্পাদক কল্লোল মজুমদার, আরএসপি’র সাধারণ সম্পাদক মনোজ ভট্টাচার্য, ফরওয়ার্ড ব্লের নরেন চ্যাটার্জি, সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের অতনু চক্রবর্তী, সিপিআই’র প্রবীর দেবের মতো নেতৃবৃন্দ। বাংলাদেশের পরিস্থিতিকে ব্যবহার করে এরাজ্যে বিজেপি এবং আরএসএস’র ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতিকে প্রতিহত করার ডাক দিয়েছেন তাঁরা। 

Comments :0

Login to leave a comment