syria

দেশ ছেড়েছেন আসাদ, জারি কারফিউ

আন্তর্জাতিক

সিরিয়ার সরকার বিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠী রাজধানী দামাস্কাস দখলের ঘোষণা করেছে সরকারি টেলিভিশনে। রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে রাষ্ট্রপতি বাশার আল আসাদ দেশ ছেড়েছেন। রবিবার বিকেল চারটে থেকে সোমবার ভোট ৫টা পর্যন্ত কারফিউ ঘোষণা করেছে সশস্ত্র বিরোধী বাহিনী।
বিরোধীদের এই অভ্যুত্থানের নেতা আবু মহম্মদ আল জুলানির সঙ্গে সন্ত্রাসবাদী আল কায়েদা এবং আইসিস’র যোগাযোগ ছিল দীর্ঘসময়। 
আবু মহম্মদ আল জুলানির গোষ্ঠী হায়াত তহরির আল শাম (এইচটিএস)-কে অতীতে সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করেছিল রাষ্ট্রসঙ্ঘ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নও এইচটিএস-কে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ঘোষণা করেছিল।
পশ্চিম এশিয়ায় সিরিয়ায় বাস বিভিন্ন ধর্ম এবং জনগোষ্ঠীর। জুলানির নেতৃত্বে উগ্র মৌলবাদী শাসন জারি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বৈচিত্রময় এই দেশের ভবিষ্যৎ নিয়েও শঙ্কা রয়েছে বিভিন্ন অংশের। 
আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবারই এক বার্তায় বলেছিলেন যে এই যুদ্ধ তাদের নয়। আমেরিকার এই সংঘাতে জড়ানো উচিত নয়।
তবে আসাদ বিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলিকে বারবর মদত দিয়ে গিয়েছে আমেরিকাই। পশ্চিম এশিয়ায় তাদের একনম্বর সহযোগী ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু আসাদের পতনকে ‘ঐতিহাসিক সাফল্য’ আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছে যে ইরান এবং লেবাননের হেজবোল্লাকে আঘাত করে ইজরায়েল দুর্বল করতে পেরেছে বলেই আসাদের বিরোধীরা ক্ষমতা দখল করেছে। 
রাশিয়া এবং ইরান আসাদের দীর্ঘদিনের সহযোগী।
রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রক বলেছে, ‘সিরিয়ার নাটকীয় পট পরিবর্তন গভীর উদ্বেগের’। সিরিয়ায় রাশিয়ার সেনাঘঁটি রয়েছে। সেনাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। 
আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে রাশিয়া জড়িয়ে পড়ায় আসাদকে যথেষ্ট সহযোগিতা করতে পারেনি। ২০১১-তে আসাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন তীব্র চেহারা নিয়েছিল। আন্দোলন দমনে আসাদ প্রশাসনের ভূমিকা দেশের মধ্যে ক্ষোভেরও কারণ হয়। সশস্ত্র বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে বারবারই লড়াইয়ে থাকতে হয়েছে আসাদকে। বিশেষ করে উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের আলেপ্পোতে। 
আল জুলানি গত কয়েকদিন আন্ত্র্জাতিক সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছে যে তিনি সহনশীল এবং সব অংশের পক্ষে থাকবেন। বাস্তবে কী হয় তার অপেক্ষায় রয়েছে পশ্চিম এশিয়া।

Comments :0

Login to leave a comment