মীর আফরোজ জামান: ঢাকা
বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে দেশবাসীর আকাঙ্ক্ষার বিপক্ষে ছিল জামাত-ই-ইসলামি। ১৯৭১-এ পক্ষ নিয়েছিল পাকিস্তানের সেনার পক্ষে। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে এই যুদ্ধাপরাধের অভিযোগেই রাজনৈতিক দল হিসেবে বাতিল হয়েছিল জামাতের নথিভুক্তি। বদলে যাওয়া পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের শীর্ষ আদালতের আপিল বিভাগ খারিজ করল সেই দায়। আপিল বিভাগের রায়ে জামত-ই-ইসলামিকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নথিভুক্তি ফিরিয়ে দিতে বলা হয়েছে।
জামাত-ই-ইসলামি ইসলামিক মৌলবাদী শক্তির প্রতিনিধি হিসেবে বিবেচিত রাজনৈতিক স্তরে। একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার লড়াইকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়েছিল ভারত। পাকিস্তান পরাজিত হয়েছিল। পরের সময়ে দেখা গিয়েছে বাংলাদেশের মাটিতে অন্ধ ভারত বিরোধিতাকে হাতিয়ার করে মৌলবাদী চিন্তায় মদত দেওয়ার কাজে যুক্ত থেকে জামাত।
এদিন শীর্ষ আদালতের আপিল বিভাগের রায়ের পর প্রশ্ন উঠেছে তা’হলে কী বলা হলো যে একাত্তরে কোনো যুদ্ধাপরাধ করা হয়নি!
এদিন রায়ে আপিল বিভাগ নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে এই নির্দেশ বাস্তবায়িত করতে বলেছে। জনাকীর্ণ আদালত কক্ষে প্রধান বিচারপতি ড: সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করে।
এর আগে গত ২৮ মে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী আজহারকে সর্বোচ্চ আদালত থেকে খালাস করা হয়। ওই ঘটনায় বাংলাদেশের বামপন্থী সংগঠনগুলো রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব ছিল।
এদিকে রবিবার, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলায় প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনসমূহের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও হেনস্তার জন্য দায়ী জামাতের ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবির সহ মৌলবাদীদের গ্রেপ্তারি ও বিচারের দাবি করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। বিভিন্ন জেলায় রাজনৈতিক দলের অফিস ও নেতৃবৃন্দের বাসস্থানে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি করা হয়েছে।
Comments :0