আগামী ৪ মে দিল্লির জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শারজিল ইমামের জামিনের আবেদনের শুনানি হবে দিল্লি হাই কোর্টে। গত ২৪ জানুয়ারি ২০২২ দিল্লি দাঙ্গায় গ্রেপ্তার জেএনইউ’র ছাত্র শারজিলের জামিনের আবেদন খারিজ করে নিম্ন আদালত। নিম্ন আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাই কোর্টের দারস্থ হন শারজিল। সোমবার দিল্লি হাই কোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে আগামী ৪ মে তারা সারিজেলের জামিনের আবেদন শুনবে।
গত ৩০ জানুয়ারি উচ্চ-আদালতের পক্ষ থেকে শারজিলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লি পুলিশের মতামত জানতে চাওয়া হয়। তার কারণ নিম্ন আদালত যেই আবেদন খারিজ করেছে তা কি কারণে খারিজ করেছে তার কোন উল্লেখ রায়তে নেই।
শারজিলের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ১২৪এ (রাষ্ট্রদ্রোহ), ১৫৩এ (শত্রুতা প্রচার), ১৫৩বি (জাতীয় সংহতির প্রতি প্রতিবন্ধকতা), ৫৫৫ এবং ১৩ নম্বর ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার মধ্যে ১২৪এ ধারা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে স্থগিত রাখা হয়েছে।
শারজিলের বক্তব্য বিচার আদালত উচ্চ আদালতের রায়ের মর্ম বুঝতে ভুল করেছে। শারজিলের সোমবার জানিয়েছেন যে, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিজোগ উচ্চ আদালতে আগেই কারিজ হয়েছে ফলে তাঁর জামিন হওয়াটাই স্বাভাবিক।
সুপ্রিম কোর্টে ২০২২ এর ১১মে রাষ্ট্রদ্রোহের আইনের প্রয়োগ স্থগিত করে। শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয় যে, ব্রিটিশ আমলের এই আইনরে পূর্ণমুল্যায়ন না হওয়া প্রযন্ত নতুন করে কাউকে অভিযুক্ত করা যাবে না।
শারজিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি ২০১৯ এর ১৩ ডিসেম্বর জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া এবং ১৬ ডিসেম্বর আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএএ বিরোধী আন্দোলনের সময় যেই বক্তব্য রাখেন তা রাষ্ট্রদ্রোহের সমান।
Comments :0