Foreign Secretary Dhaka

৯ ডিসেম্বর ঢাকা বাংলাদেশে যাচ্ছেন বিদেশ সচিব

জাতীয়

বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি।

ভারতের বিদেশ সচিব বাংলাদেশ যাচ্ছেন ৯ ডিসেম্বর। ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে আলোচনা প্রক্রিয়া চালু রাখতে সফরে যাচ্ছেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি। 
শুক্রবার দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল। 
বিদেশ সচিবের ঢাকা যাওয়ার সিদ্ধান্ত আগেই জানিয়েছিল নয়াদিল্লি। এদিন বিদেশ মন্ত্রক নিশ্চিত করেছে যে আগামী সপ্তাহেই যাচ্ছেন তিনি। 
সাংবাদিক সম্মেলনে এক প্রশ্নে জয়সোয়াল বলেছেন, ‘‘বিদেশ মন্ত্রক ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে নির্দিষ্ট কূটনৈতিক রীতি মেনে মতবিনিময় চালায়। মিসরি সেই প্রক্রিয়া অনুযায়ীই যাচ্ছেন ঢাকায়। আমরা এই সফরের দিকে তাকিয়ে আছি।’’
বাংলাদেশে সরকারি বিরোধী বিক্ষোভের জেরে দেশ ছেড়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লিতে আশ্রয় নিয়ে আছেন। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপীড়নের একের পর এক খবরে উদ্বেগ রয়েছে সব স্তরেই। তবে বিদেশ মন্ত্রক নির্দিষ্ট করছে হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারিকেই।
এক প্রশ্নে জয়সোয়াল বলেছেন, ‘‘আমরা আশা করব সঠিক আইনি প্রক্রিয়াতে বিচার হবে। ন্যায়সঙ্গত এবং স্বচ্ছ প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হবে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আইনি অধিকারকে মর্যাদা দেওয়া হবে।’’ 
২ ডিসেম্বর ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনের এলাকায় ঢুকে পড়ে একদল উগ্র হিন্দুত্ববাদী বিক্ষোভকারী। কলকাতাতেও উপদূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ হয়। ঢাকা অবিলম্বে দুই দূতকেই দেশে ডকে পাঠিয়েছে। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ঘিরেও প্রশ্ন বহু।
এর মধ্যে তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি বাংলাদেশে রাষ্ট্রসঙ্ঘের শান্তিসেনা পাঠানোর প্রস্তাব পর্যন্ত করে ফেলেছেন বিধানসভায়। সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম স্পষ্ট করে বলেন যে প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে বিরোধ দ্বিপাক্ষিক স্তরে আলোচনার ভিত্তিতেই মেটাতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ভারতের বিদেশ নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
সংবাদমাধ্যমের একাংশের বক্তব্য, ৫ আগস্টের পর থেকে সংখ্যালঘুদের ওপর অন্তত ২০০ হামলা হয়েছে। আবার দেখা গিয়েছে সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়নের প্রতিবাদে শামিল বাংলাদেশের সব সম্প্রদায়েরই মানুষ। বিভিন্ন অংশকে নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ ইউনুস। সেখানে কবি ফরহাদ মাজহার প্রধানমন্ত্রীকে চিন্ময়কৃষ্ণের গ্রেপ্তারি নিয়ে প্রশ্ন করেন। তাঁর আইনি সহায়তার দাবিও তোলেন বলে জানা গিয়েছে। 
তবে বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে সেদেশের সাম্প্রদায়িক মৌলবাদকেই দায়ী করছেন বামপন্থীরা। ভারতে এই শক্তির সক্রিয়তাকেও সেই কারণেই বিপজ্জনক চিহ্নিত করা হয়েছে। শ্রমজীবীরাই আক্রান্ত হচ্ছেন সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী রাজনীতিতে। দুই ধর্মের মৌলবাদী শক্তি একে অপরকে মদত জোগায়, বলছেন তাঁরা। 
ভারতে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকাও গত সপ্তাহে ভারতের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ তুলেছিল। বিদেশ সচিবের এই আবহেই বাড়তি গুরুত্ব পেয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Comments :0

Login to leave a comment