Chandrakona Shilabati

চন্দ্রকোনায় ভাঙল শিলাবতীর বাঁধ

জেলা

চন্দ্রকোনায় পাঁচ জায়গায় ভাঙল শিলাবতী নদীর বাঁধ।  কমরপুর ও গদাধরপুরের মাঝে পোলের ঘাটের কাছে শিলাবতী নদীর বাঁধ ভেঙেছে প্রায় ৬০ ফুট। এর ফলে প্লাবিত হবে প্রায় ৮ থেকে ১০ গ্রাম। 
এই নিয়ে চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের মোট ৬ জায়গায় শিলাবতী নদীর বাঁধ ভেঙেছে।

দু’ দিনের বৃষ্টিতেই জেলার ৫টি ব্লক সকাল থেকেই জলের তলায়। যে সরকার গতবারের ভেঙে পড়া নদীবাঁধ ও দীর্ঘ বছর ধরে থাকা দুর্বল নদী বাঁধ মেরামত করতে পারে না সময় মতো, তারা নাকি ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান করবে? এমন প্রশ্ন মানুষের মুখে। আতঙ্কের বিষয় হলো, ঘাটাল ও দাসপুর ব্লকে যে ৫টি স্লুইস গেট নির্মাণ হচ্ছে, গত ছ’ মাসেও তার কাজ কোথাও অর্ধেক, কোথাও এক- তৃতীয়াংশ নির্মাণ হয়েছে। সেখানকার ৯৮৭ টি মৌজার মানুষ আজ আতঙ্কিত।
গতকাল পর্যন্ত নদীগুলো শুকনো ছিল। সেই মরা নদীতে সকাল থেকেই জলের তোড়। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শিলাবতী, কাঁসাই, ঝুমি, তমাল, পারাং, কেঠিয়া, কানা একাধিক নদী ফুঁসছে। পাড় উপচে জলের তলায় রাস্তা, ঘরবাড়ি, চাষের জমি। গড়বেতা, গোয়ালতোড়,  চন্দ্রকোনা, কেশপুর ব্লকের ৩২ টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার চারশোর বেশি মৌজা প্লাবিত। হঠাৎ করে হড়পা বানের মতো জল ধেয়ে এসে কোথাও নদীপাড় উপচে, কোথাও কাঠের সেতু হুড়মুড়িয়ে ভেঙে স্রোত আছড়ে পড়ে। দু’ দিনের বৃষ্টিতে মাঠঘাট সড়কসহ গ্রামীণ রাস্তা জলের তলায়।নদী বাঁধ নতুন করে ভাঙার দুশ্চিন্তা এবারে ছিল না। আতঙ্ক ছিল, গতবারের বন্যায় ভেঙে পড়া নদীবাঁধ মেরামত না হওয়ায়। সেই  আতঙ্কই হাজির। ঝাড়গ্রাম জেলার ডুলুং, কাঁসাই, তারাফেনি তিন নদীও ফুঁসছে। বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রাম জেলার যোগাযোগ-সড়কে জলের স্রোত। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন দুপুর থেকেই। বিনপুর, গিধনি জামবনি ব্লকের একের পর এক গ্রাম প্লাবিত। ব্লকগুলিতে বিপর্যস্ত জনজীবন।

Comments :0

Login to leave a comment