ভয় পেয়ে গিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। দুর্নীতির দায়ে দলের একের পর এক নেতা জেলে। মন্ত্রী জেলে। বাইরে ভাইপো আর উনি। বিলকিস বানুর ধর্ষকদের মুক্তি দিয়েছে কেন্দ্র আর সে রাজ্যের বিজেপি সরকার। উনি একটি শব্দও খরচ করেননি। নরেন্দ্র মোদী আর মমতা ব্যানার্জি মানুষের রুজি-রুটি কেড়ে নিচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গে ভোট দেওয়ার অধিকারও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। বাংলার মহিলারা রুখবেন এই দুই শক্তিকেই।
শনিবার পানাগড়ে মহিলা সমাবেশে এ কথা বলেছেন সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির নেত্রী সুভাষিণী আলি। তিনি এদিন গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির পশ্চিম বর্ধমান জেলা ২৩ তম সম্মেলনের প্রকাশ্য সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। পানাগড় বাজার জিটি রোড চৌমাথার সংযোগ স্থল সিধু কানু ডহরে হয় প্রকাশ্য সমাবেশ। দীর্ঘ সিধু কানু ডহরের শেষ প্রান্তে মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল। সমাবেশ সমগ্র ডহর ছাড়িয়ে জিটি রোডের চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। কাতারে কাতারে মহিলারা এসেছিলেন। সমাবেশ থেকে স্লোগান উঠেছে, পঞ্চায়েতে ভোট লুটতে দেব না।
সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো সদস্য সুভাষিণী আলি মনে করিয়ে দেন যে জাতীয় স্তরে বিরোধীদের সমঝোতা ভাঙছে তৃণমূলই। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের প্রার্থীকে সমর্থন দেয়নি। তিনি বলেছেন, বড় ভাই দিল্লিতে আর ছোটি বহন এখানে ভাগ করে খাচ্ছে। সব খেয়েছে ও খাচ্ছে। ছিল ভোটাধিকার। সেটাও লুট করে নিয়েছে। লড়াই সংগ্রামের ঐতিহ্যশালী বাংলার মা বোনেরা জেগে উঠেছেন। জেগে ওঠা মানুষকে শাসক বরাবর ভয় করে। বাংলা হেঁকে বলছে, অধিকার ছাড়বো না। লুটরাদের বিরুদ্ধে সবাই হেঁকে বলো, হাম সব এক হ্যাঁয়।
এসেছিলেন আদিবাসী মহিলারা। আদিবাসী নাচগান ও কাড়া নাকাড়ার নিনাদে মেতে উঠেছিল চারপাশ। বক্তব্য রাখেন মহিলা সমিতির রাজ্য সম্পাদিকা কনীনিকা ঘোষ বোস, জেলা সম্পাদিকা শান্তি মজুমদার। সভানেত্রী ছিলেন কৃষ্ণা দাশগুপ্ত। এখানেই সংগঠনের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের সূচনা করেন কৃষ্ণা দাশগুপ্ত। মহিলা নেত্রী অঞ্জু কর, সোমা চক্রবর্তী দাস, ভারতী ঘোষাল, ফুল্লরা মন্ডল সহ জেলা নেতৃবৃন্দ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। ফুল্লরা মন্ডলকে সংবর্ধনা জানানো হয়।
সমাবেশে কনীনিকা ঘোষ বোস বলেন, দলদাস পুলিশ-প্রশাসন অন্যায়ের কারিগরদের পাহারা দিচ্ছে। কিন্তু কতদিন? কত ধানে কত চাল মানুষ বুঝে নেবে, সময় আসছে। এবার আর পঞ্চায়েতের ভোট লুট করতে দেবো না।
Comments :0