জয়ী হলো বিজেপি জোট। কিন্তু গরিষ্ঠতার প্রয়োজনীয় আসনের চেয়ে মাত্র ২টি বেশি আসনে জয়ী হয়ে।
ত্রিপুরায় ৬০ আসনের বিধানসভায় বিজেপি জোট জয়ী ৩৩ আসনে। বিজেপি জিতেছে ৩২ আসনে। বিজেপি’র ভোট শতাংশ ৩৮.৯৭ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার ফল গণনার শুরুতে বিজেপি’র পক্ষে নিশ্চিত জয়ের প্রবণতা ছিল। কিন্তু সময় গড়াতেই সেই প্রবণতা ধরে রাখতে বেগ পেতে হয়েছে বিজেপি’কে। বামফ্রন্ট জয়ী হয়েছে ১১ আসনে, কংগ্রেস ৩ আসনে। তিপরা মথা ১৩টি আসন পেয়েছে।
বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের ভোট ৩৫.৩৭ শতাংশ। তার মধ্যে সিপিআই(এম)’র ভোট শতাংশ ২৪.৬২ শতাংশ।
এদিন ফলের পর মেঘালয়, নাগাল্যান্ডের পাশাপাশি ত্রিপুরার মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিজেপি নেতা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জনসভা করেছেন ত্রিপুরায়। শাহ এবং আসামের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মা প্রায় পড়ে থেকেছেন।
তবু এদিন ফল গণনানর কোনও কোনও পর্বে অর্ধেক ৩০’র কম আসনে নেমে গিয়েছে বিজেপি’র এগিয়ে থাকা আসনের সংখ্যা। মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহাও জয়ী হয়েছেন সামান্য ব্যবধানে।
মাসখানেক আগেও ত্রিপুরায় স্বচ্ছ এবং স্বাধীন মতদানের পরিবেশ ছিল না। রাজ্যে সংবিধানের প্রয়োগ, গণতান্ত্রিক অধিকার এবং আইনের শাসন ফেরানোর লক্ষ্যে প্রথমবার আসন সমঝোতা করে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস।
বিজেপি’র পাঁচ বছরের শাসনে প্রতিশ্রুতি ভাঙার অভিযোগ তুলেছে বারবার বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস। কিন্তু তার চেয়েও বড় হয়েছে গণতান্ত্রিক অধিকারের ওপর আক্রমণ। সেই বিচারেই এই লড়াইকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
ত্রিপুরায় ঢাকঢোল পিটিয়ে নির্বাচনে নামলেও একটি আসনও পায়নি তৃণমূল কংগ্রেস। ভোট ১ শতাংশেরও কম, ০.৮৮ শতাংশ।
সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো বলেছে, ২০১৮’তে এই জোট ৪৪ আসনে জয়ী হয়েছিল। এবার তার চেয়ে নেমে সামান্য ব্যবধানে গরিষ্ঠতা ধরে রেখেছে। কিন্তু এই সামান্য গরিষ্ঠতার জন্য বেনজির মাত্রায় অর্থ খরচ করেছে বিজেপি। পলিট ব্যুরো অভিনন্দন জানিয়েছে সিপিআই(এম) এবং বামফ্রন্টের হাজার হাজর কর্মীদের। যাঁরা গত পাঁচ বছর বেলাগাম নিপীড়ন সত্ত্বেও সাহসের সঙ্গে এগিয়ে গিয়ে নির্বাচনী প্রচার সংগঠিত করেছেন, মানুষের কাছে পৌঁছেছেন যে মানুষের সঙ্গে কথা বলার সুযোগটুকুও ছিল না।
সিপিআই(এম) ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে ফল গণনার মধ্যে এবং তার পরে বিরোধী এজেন্ট এবং প্রার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে বিজেপি। যেমন বিলোনিয়ায় এমন হামলা হয়েছে।
Comments :0