বাংলা বাঁচাও যাত্রা'র পর ফের মালদায় গেলেন সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দ সহ মীনাক্ষী মুখার্জি। শনিবার মালদার মানিকচকে ভুতনির গঙ্গা ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। 'বাংলা বাঁচাও যাত্রা' চলাকালীনই ওই অঞ্চলে মীনাক্ষী মুখার্জি, দেবজ্যোতি সিনহা সহ সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দ বৈঠক করেছিলেন।
এদিন ভুতনি কেশপুর কলোনি সহ বসন্তটলা ও কালুটনটোলার তিনটি গ্রামে যান কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মীনাক্ষী মুখার্জি, সুমিত দে সহ জেলা সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দ। পাশাপাশি সেখানকার সাধারণ মানুষের জীবনযন্ত্রণার কথাও শোনেন। পাশাপাশি এদিন মালদা জেলা খেতমজুর ও গ্রামীণ শ্রমজীবী ইউনিয়নের জেলা সম্মেলনের প্রকাশ্য সমাবেশেও ছিলেন তাঁরা।
সমাবেশে মীনাক্ষী মুখার্জী বলেন, "এখন শুধু শ্রমকোড বিলের কাগজটা পুড়িয়েছি। কৃষকরা একসময় মোদিকে তিনটি কৃষি আইন ফেরাতে বাধ্য করেছিলেন। এই আইন যদি বাতিল না করে তাহলে আবারও আর বিরুদ্ধে লড়াই করবে শ্রমজীবীরা। সেই লড়াইয়েও নেতৃত্ব দেবে লাল ঝান্ডা। বর্তমানে কিষান মান্ডিগুলো তৃণমূলের চুরি , লুটের কাউন্টার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর লুট করছে গরিব মানুষকে। যাঁরা উদয়াস্ত পরিশ্রম করেন তাঁদের ফসল লুট করছে। গোটা পশ্চিমবঙ্গে এমন ঘটনা প্রত্যেকদিন ঘটছে। কিন্তু তাকে এরা সামনে আনতে দেবে না। কারণ গ্রামের সাধারণ মানুষ জাগছে জানলে যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করেন তাদের ঝাঁপ বন্ধ হয়ে যাবে। শ্রমজীবী, কৃষক, খেতমজুররের উপর যখনি অত্যাচার হয়েছে তাদের লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছে লালঝাণ্ডা। গোটা রাজ্যজুড়ে মজুররা লড়ছে। আমাদের বাংলায় এমন জেলা আছে সেখানে মজুরি নিয়ে খেতমজুররা ধর্মঘটে বসেছেন। মজুরি বেড়েছে তবে ধান কাটতে গেছেন তাঁরা।"
Comments :0