সাগরদিঘিতে হারবে বুঝেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি’র ধর্মীয় উসকানির রাজনীতি কাজ করছে না। বামফ্রন্ট সমর্থিক কংগ্রেস প্রার্থীর পক্ষে মানুষের ঢল নেমেছে। ঠিক তাই ভোটের মুখে পুলিশকে জঘন্য কায়দায় ব্যবহার করছে রাজ্যের তৃণমূল সরকার।
সাগরদিঘিতে কংগ্রেসের নেতা এবং তারপর প্রার্থীর বিরুদ্ধে পুলিশি তৎপরতার নিন্দায় এ ভাষাতেই সরব হয়েছে সিপিআই(এম)। পার্টির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বৃহস্পতিবার বলেছেন, দুর্নীতি বা দুষ্কৃতী ধরতে তৎপরতা নেই পুলিশের। রাজনৈতিক বিরোধীদের হেনস্তা করতে সক্রিয় এই বাহিনী।
সাগরদিঘির বিধানসভা উপনির্বাচন ২৭ ফেব্রুয়ারি। তার ঠিক আগে হাওড়ার সাঁকরাইল থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। এর আগে, ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে বাড়ি ঘিরে সাগরদিঘির কংগ্রেস নেতা সাইদুর রহমানকে তুলে নিয়ে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রতিবাদে তাঁর স্থানীয় মানুষ থানা ঘেরাও করেন। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে শর্তাধীন জামিন মিলেছে রহমানের।
সেলিম বলেছেন, ‘‘স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে কংগ্রেস প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন। বিজেপি’র প্রতি অনাস্থাও বেড়েছে। তৃণমূল তাই পুলিশকে ব্যবহার করছে।’’ তিনি বলেছেন, ‘‘বামপন্থী নেতা, কর্মী, সমর্থকদের নামে লক্ষাধিক ভুয়ো মামলা দায়ের করে রেখেছে পুলিশ। মিথ্যা মামলা করে বিরোধী স্বর দমন করার চেষ্টা হচ্ছে। সাগরদিঘির ভোটের আগে এই সক্রিয়তাআসলে তৃণমূলের পক্ষে হারের আগাম স্বীকারোক্তি।’’
সেলিম বলেছেন, ‘‘জামিন অযোগ্য ধারায় সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল পুলিশ। কলকাতা হাইকোর্ট জামিন দিয়েছে। অভিযোগ যে সাজানো হচ্ছে আদালতের রায়েই তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।’’
বিচারপতি রাজশেখর মান্থা জামিনের নির্দেশ দিতে গিয়ে প্রশ্ন তোলেন যে কেন পনেরো বছরের পুরনো বিষয়ে প্রাথমিক তদন্ত না করেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে রহমানকে।
সাঁকরাইল থানায় এক মহিলার বয়ানে কংগ্রেস প্রার্থীর বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। জানা গিয়েছে, অভিযোগকারী বিশ্বাসের সঙ্গে কয়েক বছর ধরে যোগাযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন। থানায় অভিযোগ যদিও নথিভুক্ত হয়েছে নির্বাচনের ঠিক আগে।
সেলিম বলেছেন, ‘‘আমি নিজে সাগরদিঘিতে প্রচারে গিয়েছিলাম। বামফ্রন্ট সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থীর পক্ষে মানুষের ঢল নেমেছে। মূল্যবৃদ্ধি, কর্মহীনতার জেরে সারা দেশেই বিজেপি’কে ঘিরে অনাস্থা বাড়ছে। সাগরদিঘি এবং এ রাজ্যেও তা স্পষ্ট। শেয়ার বাজারে ধস এবং আদানি-মোদী সম্পর্কে অনাস্থা গভীর। ধর্মীয় উসকানি দিয়ে আর চলছে না।’’
Comments :0