Hostage Deal Protest Israel

জলের লাইনে গুলি গাজায়, সংঘর্ষ থামানোর দাবিতে বিক্ষোভ ইজরায়েলে

আন্তর্জাতিক

তেল আভিভের বেগিন গেটে বন্দিদের ফিরিয়ে আনার জন্য চুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ।

শনিবার রাত থেকে বিক্ষোভ হয়েছে ইজরায়েলের বড় বড় শহরে। হামাসের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করে জীবিত বন্দিদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে। 
চাপে পড়ে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি না হওয়ার দায় চাপাচ্ছেন হামাসের ওপর। আরেকদিকে তাঁরই সেনা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে গাজার নিরস্ত্র নাগরিকদের ওপর। 
রবিবারও গাজার অসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগ জানিয়েছে যে ইজরায়েলের সেনার হানায় নিহত হয়েছে গাজার অন্তত ৫০ নাগরিক। তার মধ্যে নুসেইরত ত্রাণ শিবিরে পানীয় জলের জন্য অপেক্ষমান জনতার সারিতে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে ১০ জনকে। 
গাজায় খাবার, জল, ওষুধ- সব সরবরাহ বন্ধ করে রেখেছে ইজরায়েল পরোক্ষ মদত দিচ্ছে আমেরিকা। সব আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাকে সরিয়ে ইজরায়েল-আমেরিকা ত্রাণকেন্দ্র চালু করেছে। একের পর এক ত্রাণকেন্দ্রে ক্ষুধার্ত মানুষ, নারী-শিশুদের ওপর চলছে গুলি। কেবল বিভিন্ন ত্রাণকেন্দ্রেই প্রায় ৮০০ জনকে হত্যার তথ্য মিলছে। 
শনিবার রাত থেকে ইজরায়েলের একাধিক শহরে সংঘর্ষ বিরতি চুক্তির দাবিতে হচ্ছে মিছিল। কাতারের দোহায় ইজরায়েল এবং গাজারর প্রতিরোধী গোষ্ঠী হামাসের প্রতিনিধিরা বসছেন আলোচনায়। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলছেন যে হামাস শর্ত মানছে না বলে হচ্ছে না চুক্তি। 
বাস্তবে সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি ভেস্তে দিতে গাজায় একের পর এক হামলা চালাচ্ছে নেতানিয়াহুর সেনা। হামাসের প্রধান দাবি হলো বন্দি বিনিময় হবে তবে তার আগে ইজরায়েলের সেনাকে গাজা থেকে সরতে হবে। বস্তুত গত সপ্তাহে গাজার মাটিতেই সশস্ত্র প্রতিরোধের মুখে পড়েছে ইজরায়েলের সেনা। 
কিন্তু দেশের ভেতরে নাকাল হচ্ছেন নেতানিয়াহু। গাজার পরিস্থিতি দেখিয়ে নিজের বিচার আটকে রাখতে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীকে। দুর্নীতির অভিযোগে শুরু হওয়ার কথা বিচারপ্রক্রিয়ার। আরেকদিকে জনতা সংঘর্ষবিরতি চুক্তির দাবিতে নামছে রাস্তায়। শনিবার রাত থেকে তেল আভিভ, হায়ফা, জেরুজালেমের মতো বিভিন্ন শহরে মানুষ নেমেছেন রাস্তায়। একটি বড় অংশ মনে করছে নিজের স্বার্থে আগ্রাসন টিকিয়ে রাখছেন নেতানিয়াহু।

মন্তব্যসমূহ :0

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন