SFI

এসএফআই'র অবস্থান বিক্ষোভ, তালা পড়লো নন্দীগ্রামের কলেজে অবৈধ ইউনিয়ন রুমে

রাজ্য জেলা

এসএফআই'র টানা অবস্থানে নন্দীগ্রাম কলেজের অবৈধ ভাবে চলা তৃনমূল ছাত্র পরিষদের অফিসে তালা পড়ল। এই কলেজের প্রথম বর্ষের এক ছাত্র তৃনমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তাকেই কলেজের অস্থায়ী কর্মচারী হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। অভিযোগ এই তৃনমূল কর্মী চারবছর ধরেই প্রথম বর্ষের পড়ুয়া রয়েছে। একজন কলেজ পড়ুয়া শুধুমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক হওয়ায় তাকে কলেজের কর্মী হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। এর কারন কলেজে কোনও বিরোধী মত যাতে কেউ প্রকাশ করতে না পারে এবং কলেজের পড়ুয়াদের কাছ থেকে টাকা তোলা যায়। এমন দুর্নীতির চিত্র প্রথম সামনে আনে এসএফআই।
বহিরাগত ও দুর্নীতি মুক্ত কলেজ ক্যাম্পাস, প্রথম বর্ষের ছাত্রের অবৈধ নিয়োগ বাতিল করা, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ছাত্র সংসদের অফিস বন্ধ করা, ইউনিয়ন ফি হিসাবে নেওয়া সমস্ত টাকার হিসাব প্রকাশ ও অবিলম্বে ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবিতে এসএফআই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটির ডাকে নন্দীগ্রামের সীতানন্দ কলেজ অভিযান ও অধ্যক্ষের কাছে ডেপুটেশন কর্মসূচী হয়। তার আগে নন্দীগ্রাম বাজারে মিছিল হয়।
কলেজ অধ্যক্ষ এই ডেপুটেশন গ্রহণ করতে না চাওয়ায় সকাল থেকে কলেজের গেটে এসএফআইয়ের বিক্ষোভ অবস্থান চলে। টানা অবস্থান চলার পর অধ্যক্ষ ফোনে বার্তায়  ইউনিয়ন অফিসে তালাবন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বলে জানান। বাকি সমস্ত দাবি নিয়ে কলেজের সাধারণ সভায় আলোচনা করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
এদিন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন এসএফআই রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে, এসএফআই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক জাকির হোসেন মল্লিক ও সভাপতি সৈকত মাজী সহ নন্দীগ্রাম সীতানন্দ কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা।
দেবাঞ্জন দে বলেন, "নন্দীগ্রাম সীতানন্দ কলেজ রাজ্যের মধ্যে অনন্য। এখানে একই সাথে তৃণমূলের ক্রাইম সিন্ডিকেট ও অধিকারী গ্যাং এদের দৌলতে বিজেপির ক্রাইম সিন্ডিকেট একসাথে কাজ করে। কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র সে তৃণমূলের নেতার ছেলে বলে কলেজের অস্থায়ী কর্মী হিসেবে চাকরি করছে। অবৈধ ইউনিয়নের মাতব্বরি চলেছে দীর্ঘদিন ধরে। ইউনিয়ন রুমের মধ্যে ডিজে বাজিয়ে নাচ পর্যন্ত করেছে তৃণমূল। বহিরাগতদের অবাধ যাতায়াত কলেজের ইউনিয়ন রুমে। এদের মধ্যে বড় অংশ তৃণমূল এবং তৃণমূল থেকে বিজেপি তে যাওয়া অধিকারই গ্যাং এর লোকজন।"

দেবাঞ্জন আরও বলেন, "এই কলেজেরই গভর্নিং বডির সদস্য হয়ে বসে আছে তৃণমূলের শেখ সুফিয়ান। যে কিনা নির্বাচনের সময় বোমাবাজি ও দুর্নীতিচক্রের সাথে যুক্ত। আমরা গিয়েছিলাম প্রিন্সিপালের সাথে কথা বলতে এবং ডেপুটেশন দিতে দীর্ঘক্ষন আমরা কলেজগেটে অবস্থান করি তার ফলে কলেজের অবৈধ ইউনিয়ন রুমে তালা দিতে বাধ্য হয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। প্রিন্সিপাল সরাসরি দেখা না করলেও ফোনের মাধ্যমে আমাদের জানায় যে কালকে গভর্নিং বডির বৈঠকে তাদের এই দাবিগুলি তুলবে।"

Comments :0

Login to leave a comment