হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্র এবং ‘সেবি’-কেমত জানানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষায় নজরদারি কিভাবে বাড়ানো উচিত, সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট মতামত তলব করেছে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ।
দু’টি পৃথক আবেদনের ভিত্তিতে শুক্রবার শুনানি হয়েছে শীর্ষ আদালতে। একটিতে বলা হয়েছে, হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টকে কেন্দ্র করে শোরগোলে দেশের সম্মান নষ্ট হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ করা উচিত। ভারতে শেয়ার
অপরটিতে ঠিক উলটো, উদ্বেগ জানাো হয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক এবং এলআইসি’তে সঞ্চয় রাখা কোটি কোটি সাধারণ মানুষের ভবিষ্যৎ নিয়ে। তাঁদের সুরক্ষায় শীর্ষ আদালতের নজরদারিতে আদানি গোষ্ঠীর বিনিয়োগ এবং আর্থিক লেনদেনে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার আবেদন জানাো হয়েছে।
আইন বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘লাইভ ল’ জানাচ্ছে যে বিচারপতিরা এদিন প্রস্তাব দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ার। যে কমিটি লগ্নির বাজারে ছোট বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষা করার বিষয়ে সুপারিশ জমা দিতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ গৌতম আদানির গোষ্ঠীতে বড় অঙ্কে বিনিয়োগ করেছে এলআইসি। স্টেট ব্যাঙ্কের ঋণ রয়েছে বড় মাত্রায়। আদানি গোষ্ঠীর মোট ঋণের প্রায় ৪০ শতাংশ স্টেট ব্যাঙ্কের। ৭০ হাজার কোটি টাকার ওপর বিনিয়োগ রয়েছে এলআইসি’র। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের অনুমান, আদানির বিভিন্ন শেয়ারের দাম ৮০ শতাংশ বাড়ানো রয়েছে অবৈধ উপায়ে। ফলে কমে যেতে পারে দাম। রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পর দাম প্রায় অর্ধেক পড়ে গিয়েছে।
সংসদে যদিও প্রধানমন্ত্রী আদানি সংক্রান্ত প্রশ্নের মুখে একেবারে চুপ থেকেছেন। উলটে বিরোধীদের দোষ দিয়েছেন সমালোচনা করায়।
১৩ ফেব্রুয়ারি এই মামলার শুনানি হবে ফের।
Comments :0