Smart meters to be installed in schools

স্কুলে বসতে চলেছে স্মার্টমিটার, রিকুইজেসন চেয়ে পা‌ঠালো শিক্ষা দপ্তর

রাজ্য কলকাতা

সঠিক সময়ে রাজ্যের স্কুলগুলিকে কম্পোজিট গ্রান্ট প্রদানের দাবি নিয়ে দীর্ঘ আন্দোলন করছে শিক্ষক সংগঠনগুলি। গ্রান্টের টাকা দিতে দেরি করা, এমনকি গোটা এক বছরের টাকা স্থগিত রেখে দেওয়ার ফলে স্কুলের জন্য নানা খরচ সহ চক-ডাস্টারের খরচও প্রধান শিক্ষকদের পকেট থেকে দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। এমনকি, কম্পোজিট গ্রান্ট এবং মেইনটেনেন্স গ্রান্টের টাকা বছরের প্রথমেই প্রদানের দাবিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে মঙ্গলবারই স্মারকলিপিও দিয়েছে নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (এবিপিটএ)। 
অবশেষে হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ যখন গণআন্দোলনের এই দাবি মেনে নিয়ে জেলার স্কুলগুলিকে গ্রান্ট প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় চাহিদা জেনে রিকুইজেশন চেয়ে পাঠালো, যদিও সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে স্মার্ট মিটার বসানোর জন্য ২০২৪-২৫শিক্ষাবর্ষের প্রয়োজনীয় অর্থের দাবিপত্রও। বুধবার, হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বিজ্ঞপ্তি জারি করে জেলার স্কুলগুলিকে ৩১জানুয়ারির এই প্রয়োজনীয় অর্থের দাবিপত্র জমা করতে বলেছে। ফলে কার্যত ফাঁপড়ে পড়েছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
তাঁদের  বক্তব্য, পর্ষদ চালাকি করে কম্পোজিট গ্রান্টের সঙ্গে স্মার্টমিটারের বিষয়টা যুক্ত করেছে। একদিকে, স্কুলগুলির রুগ্ন দশা মেরামতির জন্য এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এই সমস্যা থেকে বের করতে গ্রান্টের টাকা আবশ্যিক, আবার অপরদিকে, স্কুলে স্মার্ট মিটার বসানোর পর কোন কারণবশত বিদ্যূতের জন্য অর্থ অগ্রিম প্রদান করা না হলে বিদ্যূৎ বিচ্ছিন্ন করা হবে স্কুলগুলি থেকে। ফলে সমস্যায় পড়বে ছাত্রছাত্রীরা। আবার সরকারের মনোভাবকেও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করেছেন তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, এরফলে ঘুরপথে সরকার স্মার্টমিটার বসানোর জন্য স্কুলগুলির সম্মতি হিসাবে এই দাবিপত্রকে ব্যবহার করতে পারে।  
নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সম্পাদক ধ্রুবশেখর মন্ডল এদিন এই ফরমানের তীব্র বিরোধিতা করে বলেন, ‘‘স্মার্ট মিটার মানে আগে টাকা পরে পরিষেবা। ২০২৪ সালে কোনো টাকা স্কুল পরিচালনার জন্য দিল না। এই অবস্থায় স্মার্ট মিটার থাকলে স্কুলে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেত।’’ তাঁর কথায়, সরকার স্কুলে বিদ্যুৎ মিটার বসালে সরকারের পয়সায় বসাতে হবে। বিদ্যুতের বিল সরকারকে দিতে হবে এই দাবি আমাদের দীর্ঘদিনের। বর্তমানে স্কুলগুলির কাছ থেকে বাণিজ্যিক হারে মিটারের টাকা নেওয়া হয়। যেহেতু এটি জনস্বার্থবাহী পরিষেবা, তাই এর হার অবশ্যই ভরতুকি দিয়ে  গার্হস্থ্য হার বা তার চেয়েও কম হারে করতে হবে। সর্বোপরি এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক- শিক্ষিকাদের কোনো দায়বদ্ধতার মধ্যে যাতে না আনা হয় সে দাবিও আমরা বারবার জানিয়েছি।

Comments :0

Login to leave a comment