ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘মেগা বিল’ ঘুম কেড়েছে প্রান্তিক আমেরিকানদের। মে’র তৃতীয় সপ্তাহে মার্কিন কংগ্রেসের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস-এ কম ব্যবধানে বিলা পাশ করিয়েছেন ট্রাম্প। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিকিৎসা সহায়তা প্রকল্পে বড় ছাঁটাই নামবে এই বিল পুরোপুরি পাশ হয়ে আইন তৈরি হলেই।
বিলে বড় ব্যবসায়ী এবং ধনীদের কর কমানোর ব্যবস্থা খোলা রেখেছে ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টির সরকার। উলটোদিকে ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে জোর দিয়েছে। যার জেরে একাধিক সামাজিক পরিষেবায় কোপ পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে আমেরিকার ‘মেডিকেড’।
কেন ‘মেগা বিল’? রিপাবলিকান পার্টিতে বিলের সমর্থকরা রাষ্ট্রপতির সুরেই বলছেন যে সরকারি ব্যয় কমাবে এই ব্যবস্থা। কমবে করের বোঝা। করের বোঝা কমবে কর্মদাতাদের ওপর। কর্মদাতা কারা? বিভিন্ন ব্যবসায়ী এবং বাণিজ্যিক সংস্থা।
হাউস স্পিকার মাইক জনসনের সংযোজন, ‘‘এই এক বিল পাশ হলেই অর্থনীতির সঙ্গে সঙ্গে সুরক্ষিত হবে সীমান্ত, শক্তি উৎপাদন। সরকার আরও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করবে।’’
আমেরিকান কংগ্রেসের বাজেট বিষয়ক অফিস বিল সংক্রান্ত বিশ্লেষণ রিপোর্ট জমা দিয়েছিল। বিলের বিপদ কোথায় ধরা পড়েছে সেই বিশ্লেষণেই। এই বিশ্লেষণে বলা হয়েছে যে আগামী ১০ বছরে আমেরিকার ঋণ বাড়বে ২.৩ লক্ষ কোটি ডলার। এই ঋণ দেখিয়ে শুরু হবে ‘মেডিকেড’ বা ‘মেডিকেয়ার’-এ ছাঁটাই। ২০২৬ সালেই শুরু হবে ছাঁটাই। দশ বছরে ৫০ হাজার কোটি ডলার ছাঁটাই হবে।
বিভিন্ন পরামর্শদাতা সংস্থার অনুমান, ট্রাম্পের এই বিল পাশ হলে প্রায় দেড় কোটি নাগরিকের স্বাস্থ্য বিমা বন্ধ হয়ে যাবে। মার্কিন সংবাদমাধ্যমেরই বিভিন্ন অংশ বলতে শুরু করেছে যে সরকারি অর্থে চালু গ্রামীণ ৩০০ হাসপাতাল বা সরকারি প্রকল্পে চালু বড় হাসপাতালও বন্ধ হতে পারে।
Trump Megabill
ট্রাম্পের বিলে অনিশ্চিত কয়েকশো হাসপাতাল, শঙ্কা স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের

×
Comments :0