কাতার বিশ্বকাপে কোন দেশের অধিনায়ক কে? খেলেন কোন ক্লাবে? সংক্ষেপে রইল তাঁদের কথা। প্রথম পর্ব।
গ্রুপ: এ
কাতার: অধিনায়ক হাসান আল হায়দোস। ৩১ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। কাতার স্পোর্টস্ লিগে আল-সাদ ক্লাবের হয়ে খেলে থাকেন।
ইকুয়েডর: অধিনায়ক এনর ভ্যালেন্সিয়া। ফরোয়ার্ড এবং উইঙ্গার, উভয় পজিশনে খেলতে স্বচ্ছন্দ। তুরষ্কের অন্যতম সফল ক্লাব ফেনেরবাহ’কের হয়ে ক্লাব ফুটবল খেলেন এনর।
সেনেগাল – কালিডু কৌলিবালী। সেন্টার ব্যাক পজিশনে খেলেন তিনি। ২০২২ মরশুমে নেপোলি থেকে চেলসিতে যোগ দিয়েছেন কালিডু। ২০২১ আফ্রিকা কাপ অফ নেশন্সেও দলকে নেতৃত্ব দেন তিনি।
নেদারল্যান্ড: অধিনায়ক ভার্জিল ভ্যান ডাইক। ২০১৫ সাল থেকে জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্য। সেন্টার ব্যাক পজিশনে খেলে থাকেন। ২০১৮ মরশুম থেকে লিভারপুলে খেলছেন।
গ্রুপ :বি
ইংল্যান্ড – অধিনায়ক হ্যারি কেইন। স্ট্রাইকার পজিশনে খেলে থাকেন কেইন। ২০১৫ থেকে জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্য। টটেনহ্যাম হটস্পার’র হয়ে ক্লাব ফুটবল খেলেন তিনি।
ইরান – অধিনায়ক এহসান হাজসাফি। মূলত মাঝমাঠের খেলোয়াড়। মাঝমাঠের পাশাপাশি লেফট ব্যাক পজিশনেও সমান দক্ষ। গ্রীসের প্রথম সারির দাল এইকে এথেন্সের হয়ে ক্লাব ফুটবল খেলেন হাজসাফি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: অধিনায়ক ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচ। আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার। মাঝমাঠের পাশাপাশি প্রান্ত ব্যবহার করে খেলতেও সমান দক্ষ। চেলসি’র হয়ে ক্লাব ফুটবল খেলছেন পুলিসিচ। ভক্তদের কাছে তিনি ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা’ নামে জনপ্রিয়।
ওয়েল্স: অধিনায়ক গ্যারেথ বেল। জাতীয় দলের হয়ে প্রথম মাঠে নামেন ২০০৬ সালে। ইতিমধ্যেই একশো’র বেশি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন বেল। পছন্দের পজিশন উইঙ্গার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব লস এঞ্জেলেস এফসি’র হয়ে ক্লাব ফুটবল খেলছেন রিয়েল মাদ্রিদের এই প্রাক্তনী।
গ্রুপ: সি
আর্জেন্টিনা – লিওনেল মেসি। মারাদোনা’র উত্তরসূরী মেসি জাতীয় দলের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলেন ২০০৫ সালে। জাতীয় দলের হয়ে ১৬৫ ম্যাচে ৯১ গোল করে ফেলেছেন ইতিমধ্যেই। বর্তমানে ফরাসি ক্লাব পিএসজি’র হয়ে ক্লাব ফুটবল খেলছেন সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার।
সৌদি আরব: অধিনায়ক সালমান আল ফারাজ। মাঝমাঠের খেলোয়াড়। গোল করতেও সমান দক্ষ। পছন্দের জার্সি নম্বর ৭। সৌদি আরবের অন্যতম সফল ক্লাব আল-হিলালের হয়ে ক্লাব ফুটবল খেলেন সালমান।
মেক্সিকো : অধিনায়ক আন্দ্রেস গুয়ার্দাদো। ২০০৫ সাল থেকে জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্য। জাতীয় দলের হয়ে ১৭৮টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন গুয়ার্দাদো। মাঝমাঠ, উইং এবং লেফ্ট ব্যাক- তিন পজিশনেই সমান দক্ষ তিনি। রিয়েল বেটিসের হয়ে ক্লাব ফুটবল খেলেন গুয়ার্দাদো।
পোল্যান্ড – রবার্ট লেওয়ানডস্কি। অধিনায়কের পাশাপাশি দলের মূল গোল স্কোরারও তিনি। স্ট্রাইকার পজিশনে খেলতে সবথেকে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন রবার্ট লেওয়ানডস্কি। বায়ার্ন মিউনিখ থেকে ২০২২ সালে বার্সেলোনায় পাড়ি দিয়েছেন রবার্ট। জাতীয় দলের হয়ে ১৩৪ ম্যাচে ৭৬টি গোল রয়েছে তাঁর নামের পাশে।
গ্রুপ :ডি
ফ্রান্স: অধিনায়ক হুগো লরিস। গোলকিপার পজিশনে খেলেন। ২০০৮ থেকে জাতীয় দলের নির্ভর যোগ্য সদস্য। এখনও পর্যন্ত ফ্রান্সের জার্সি গায়ে খেলে ফেলেছেন ১৩৯টি ম্যাচ। টটেনহ্যাম হটস্পারের হয়ে ক্লাব ফুটবল খেলেন হুগো।
অস্ট্রেলিয়া – অধিনায়ক ম্যাট রায়ান। গোলকিপার পজিশনে খেলেন। ২০১২ সাল থেকে জাতীয় দলের হয়ে ৭৪টি ম্যাচ খেলেছেন। কোপেনহ্যাগেনের হয়ে ক্লাব ফুটবল খেলেন।
ডেনমার্ক: অধিনায়ক সাইমন জায়ের। অধিনায়কের পাশাপাশি জাতীয় দলের নির্ভর যোগ্য সেন্টারব্যাক। ২০০৯ থেকে ডেনমার্কের হয়ে ১২১টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন জায়ের। এসি মিলানের হয়ে ক্লাব ফুটবল খেলেন তিনি।
টিউনিশিয়া: অধিনায়ক ইউসেফ ম’সাকনি। ২০১০ থেকে জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্য। উইংয়ের পাশাপাশি ফরোয়ার্ড পজিশনেও খেলতে পারেন ম’সাকনি। কাতারের আল-আরবি’র হয়ে ক্লাব ফুটবল খেলেন।
Comments :0