তপন বিশ্বাস - ইসলামপুর
সিপিআই(এম) করার অপরাধে বুধবার গভীর রাতে ডালখোলা থানার সাহাসরা গ্রামে দুই সিপিআই(এম) কর্মীর বাড়িতে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। ডাকাতিতে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টায় দুই পরিবারের জখম হয়েছে ছয় জন।
জানা গিয়েছে, ডালখোলা থানার সাহাসরা গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ ইব্রাহিম ও রফিক আলম নামে এই ব্যক্তির বাড়িতে ২০ থেকে ২৫ জনের একটি ডাকাত দল ডাকাতি করতে ঢুকে পড়ে। এরপর শুরু হয় ডাকাত দলের তান্ডব। ভাঙচুর লুটপাট, বাঁধা দিতে গেলে ধারাল অস্ত্র দিয়ে পরিবারের সদস্যদের মারধর। ঘটনায় দুই পরিবারের ছয় জন জখম হয়। প্রায় এক ঘন্টা ধরে লুটপাট করে নগদ টাকা ও সোনার গহনা মিলে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার সামগ্রী নিয়ে চম্পট দেয় ডাকাত দলটি। ইব্রাহিম ও রফিকের ছেলে সাদ্দাম ও আরমান পার্টি সদস্য। পরিবারের সদস্যরা জানান, ‘‘ডাকাত দল বারেবার সাদ্দাম ও আরমানের খোঁজ করছিল। এছাড়া হিন্দি ভাষায় বলাবলি করছিল যে ওই দুই জন খুব বেড়ে গেছে। এলাকার বাসিন্দা তথা সিপিআই(এম) কানকি এরিয়া কমিটির সদস্য রাহি আনোয়ার জানান, ‘‘ওই দুই জন সিপিআই(এম)’র সক্রিয় সদস্য। তাদের লড়াই সংগ্রামের জন্য পাশাপাশি দুটি বুথে আমরা গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়লাভ করি। ফলে তাদের উপর একটা চাপ ছিলই’’।
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা ডাকাতির খবর দেয় ডালখোলা থানার পুলিশকে। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। তদন্ত শুরু করেছে ডালখোলা থানার পুলিশ। এদিকে ডাকাত দলের আক্রমণে দুই পরিবারের ছয় সদস্য আহত হন। তাদের বিহারের কিষানগঞ্জ চিকিৎসা করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে কানকি এরিয়া কমিটির সম্পাদক আনন্দমোহন সিংহের নেতৃত্বে পার্টির এক প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে যান এবং ওই পরিবারের সাথে কথা বলেন এবং তাদের সান্তনা দেন। সিংহ বলেন, ‘‘ওই দুই পরিবার দীর্ঘদিনের পার্টি ঘনিষ্ট। দুই পরিবারের দুজন ছেলে পার্টি সদস্য। ওই দুই পরিবারকে দীর্ঘদিন থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু ওই দুই পরিবার সিপিআই(এম) ছেড়ে অন্য কোন দল করার কথা ভাবতে পারেনি এবং শাসক দলের দুষ্কৃতীরা বিভিন্ন প্রলোভন ও ভয়-ভীতি প্রদর্শন করেও তাদের টলাতে পারেনি। অবশেষে ওই পরিবারকে ধনে প্রাণে শেষ করে দিতে ডাকাতি করায় তৃণমূলী আশ্রিত দুষ্কৃকারীরা। তিনি আরো বলেন ,আমরা পুলিশকে বলেছি ঘটনা পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে দোষীদের গ্রেপ্তার করতে না হলে সিপিআই(এম) বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।
Comments :0