নিখোঁজ শিক্ষকের রহস্য মৃত্যু। বাংলাদেশ সীমান্তে উদ্ধার দেহ। ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বালুরঘাটে। স্থানীয়দের কথায় বেসরকারি ঋণের ফাঁদেই মৃত্যু প্রাথমিক শিক্ষকের। একই অভিযোগ জানাচ্ছে মৃতের পরিবারও। পাঁচদিন আগে নিখোঁজ প্রাথমিক শিক্ষকের দেহ শুক্রবার হস্তান্তর হলো বালুরঘাট থানাতে। শোকার্ত পরিবার ও এলাকাবাসি। স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে মৃত শিক্ষকের নাম সুকান্ত(৩৯) চক্রবর্তী। বালুরঘাট পাওয়ার হাউস এলাকার বাসিন্দা। গত সোমবার থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় নিখোঁজ ডাইরিও করা হয়। বৃহস্পতিবার ওই শিক্ষকের মৃত দেহ ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন বাংলাদেশের নওগা জেলার আত্রেয়ী নদীতে পাওয়া যায়। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া শিক্ষকের দেহ পরিবার চিনতে পারে। শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশের সীমান্ত বাহিনী, ভারতের ভাতশালা বিওপির বিএসএফ ও বালুরঘাট থানার পুলিশ ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের মাধ্যমে বালুরঘাট থানাকে মৃত দেহ হস্তগত করে। পরবর্তীতে বালুরঘাট থানার মাধ্যমে পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ সুত্রে জানা গেছে বাংলাদেশে ময়নাতদন্ত হয়েছে। বাড়িতে বৃদ্ধ মা ও বাবা আছেন।
পরিবার সুত্রে জানাযায়, সুকান্ত চক্রবর্তী কিছুদিন আগে পরিবারকে জানায় প্রায় আড়াই লাখ টাকা বেসরকারি ভাবে লোন নিয়েছেন। ঋণের কারবারিরা চাপ দিচ্ছে টাকা পরিসোধ করার জন্য। বিশাল অঙ্কের সুদ প্রতিমাসে দিতেও হাঁপিয়ে উঠছিল বলে জানায় পরিবারকে। ফের ব্যাঙ্ক ঋণ নিয়ে ওই টাকা শোধের কথা বলছিলেন তাঁর মাকে। বৃদ্ধ বাবা মা জানায় তাদের ছেলে আত্মহত্যা করতে পারেনা এবং জলেও ডুবে মরবে না। তাদের অভিযোগ, ঋণ কারবারিদের জালেই খুন হয়েছে শুকান্ত, খুন করে নদীতে ফেলা দেওয়া হয়েছে। খুনিদের চরম শাস্তি চান বৃদ্ধ ও বৃদ্ধা।
Body Found
ঋণের কারবারির চাপ, সীমান্তে মিলল শিক্ষকের ক্ষতবিক্ষত দেহ
×
Comments :0