ফের বিস্ফোরণে কাঁপলো উলুবেড়িয়া। প্রবল বিস্ফোরণের জেরে ভেঙে গেল কয়েকটি বাড়ি। ভাঙলো জানলার কাঁচ। বেঁকে গেল লোহার গ্রিল। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে আশপাশের এলাকা পুরো কেঁপে ওঠে। শনিবার ভাই ফোঁটার আগের রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উলবেড়িয়া থানা এলাকার উলুবেড়িয়া পৌরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের তাঁতিবেড়িয়ায়। পুলিশ রবিবার সকলে ঘটনা স্থলে গিয়ে প্রচুর পরিমাণে আতশবাজি উদ্ধার করে। এছাড়াও যে ঘরে বিস্ফোরণ ঘটেছে সেই বাড়ির মালিক শ্যামল কুমার মন্ডলকে আটক করে।
জানা গেছে, শ্যামল কুমার মন্ডল টিভি সহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স দব্যাদী সারাইয়ের কাজ করতো। সে তার বাড়ির দোতালায় সেই সমস্ত কাজ করতো। এদিন রাত ১টা নাগাদ সেই ঘরটি প্রবল বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে। যার জেরে আশেপাশের এলাকাও প্রবল শব্দে কেঁপে ওঠে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেই ঘরটি। বিস্ফোরণের জেরে ঘরটির দেয়াল ভেঙে যায়। ঘরের জানালার কাঁচ ভেঙে যায়। এমনকি জানালার গ্রিলগুলিও বেঁকে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় আশেপাশের কয়েকটি বাড়ি। মাঝরাতে প্রবল বিস্ফোরণের জেরে আতঙ্কের সৃষ্টি হয় গোটা এলাকা জুড়ে। খবর পেয়ে রবিবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে প্রচুর পরিমাণ আতশবাজি উদ্ধার করে। এছাড়াও যার ঘরে বিস্ফোরণ ঘটেছে সেই ঘরের মালিক শ্যামল কুমার মন্ডলকে আটক করে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শ্যামল কুমার মন্ডল পুজোর সময় বিভিন্ন রকম আতশবাজি বানায়। এ বছরও অনেকরকমের আতশবাজি বানিয়েছিল। তবে তা থেকেই এই ধরনের বিস্ফোরণ ঘটবে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করছেন না। তারা বলেন, কি থেকে এই ঘটনা ঘটেছে সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয়।
অন্যদিকে, কি কারণে এই বিস্ফোরণ পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।
উল্লেখ্য, দু'দিন আগেই উলুবেড়িয়া থানা এলাকার বাজারপাড়ায় আগুন লেগে মৃত্যু হয় তিন শিশুর। শিশুগুলির পরিবারের বক্তব্য, আতশবাজি ফাটাতে গিয়ে কাপড়ে আগুন লেগে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। যদিও স্থানীয়দের বক্তব্য, ঘরে প্রচুর পরিমাণ কাটা তেল মজুদ করা ছিল। যেকোনো কারণে তাতে আগুন লেগে ওই ঘটনা ঘটে। দু'দিনের ব্যবধানে আগুন লাগা ও বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশকে দুষচে সাধারণ মানুষ। তারা বলছেন, পুলিশের নজরদারির অভাবের ফলেই এই ঘটনা বারে বারে ঘটছে উলুবেড়িয়া থানা এলাকায়।
Comments :0