কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে রবিবার শুরু হয় তমলুক সমবায় ব্যাংকের নির্বাচন। গতকাল থেকেই চাপা উত্তেজনা ছিল। এদিন তমলুক কো অপারেটিভ রুরাল ডেভলপ্টমেন্ট এন্ড এগ্রিকালচার সোসাইটির নির্বাচনকে কন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় নন্দীগ্রাম। নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লকের ৭টি আসনে তৃণমূল, বিজেপি ও বামফ্রন্ট, নির্দল মিলিয়ে ২২ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাতটি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে বামফ্রন্ট।
ভোটারদের বাধা দিতে মারামারি সঙ্গে বোমাবাজির অভিযোগ। রবিবার সকাল ৮টায় নন্দীগ্রামের গড় চক্র কাঞ্চন নগর বিদার উদ্দিন বিদ্যালয়ে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। সময় যতোই বাড়তে থাকে ততোই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অভিযোগ ভোটারদের ভোট একযোগে বাধা দিয়েছে তৃণমূল ও বিজেপি। চলে বোমা বাজিও। লাঠি, বাঁশ দিয়ে দফায় দফায় চলতেই থাকে মারামারি। ভোটকেন্দ্রর ২০০ মিটারের মধ্যে বোমা ছোঁড়া হয় বলে জানা গেছে। দুই পক্ষের মুহুর্মুহু বোমা ছোঁড়ার শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা। পুলিশের সামনেই বোমাবাজি চলতে থাকে। পুলিশ দাবি করেছে, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। মারামারি ও বোমা বাজিতে তৃণমূল ও বিজেপির ১০ জন জখম হয়েছেন। জখমের তালিকায় এক সাংবাদিকও রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আসতে এই অশান্তির বাতাবরণ তৈরি করেছে তৃণমূল ও বিজেপি। তবে দু’পক্ষের তৈরি অশান্তি উপেক্ষা করেই ভোট দিয়েছেন মানুষ। রবিবার দুপুরের পরে পাওয়া খবরে জানা গেছে ভোট পড়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ।
স্থানীয়দের অভিযোগ ক্ষেত্র নম্বর ১২তে তৃণমূলের ও বিজেপির বহিরাগত কিছু দুষ্কৃতী সকাল থেকেই তাণ্ডব চালায়। বুথ দখলের পরিকল্পনা নিয়ে উভয় দলের কাছে বোমা এবং আগ্নেয়াস্ত্র মজুত ছিল। তাদের বক্তব্য যেহেতু নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী এবং মমতা ব্যানার্জিকে হারিয়ে ছিল নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে। সেই কারণে সোসাইটিতে নির্বাচনে জিততে হবে তৃণমূলকে। আবার এই বিধানসভা এলাকায় যেহেতু বিজেপির দখলে সেহেতু তাদেরকে জিততেই হবে। ১২নং ক্ষেত্রে সাতটি আসনে বিজেপি’র তৃণমূল এবং বাম প্রগতিশীল দল প্রার্থী দেয়। ভোট প্রচারে ভোটারদের ভোটারের জন্য নানান রকম হুমকি এবং লোন পাইয়ে না দেওয়ার ভয় দেখানো হয়েছিল। বোমাবাজিতে উভয় দলের প্রায় ১০ জন আহত হয়েছেন। এদিন পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকেও কোনোভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। পরবর্তীকালে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। রাজ্যের বিভিন্ন সমবায়ের নির্বাচনে দখলদারি করতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলকে।
Co Operative Election in Nandigram
সমবায় ভোটকে কেন্দ্র করে নন্দীগ্রামে বোমাবাজি
×
Comments :0