সুমিত গাঙ্গুলি
শেষ হচ্ছে ইউরো কাপ। ফিফা বিশ্বকাপের মতই ঠিক চার বছর অন্তর ইউরোপীয় দেশগুলির মধ্যেকার ফুটবল প্রতিযোগিতা। অংশগ্রহণকারী সংস্থা ও তাদের খেলার মান অনুযায়ী ফিফা বিশ্বকাপের পরেই এই প্রতিযোগিতার স্থান। ২০২৪ সালে যখন এই প্রতিযোগিতার সপ্তদশ সংস্করণ আয়োজিত হচ্ছে জার্মানিতে, তখন ফুটবলে চলছে এক বড়সড় পালাবদল। একদিকে বিদায় নিচ্ছেন একাধিক বড় তারকা, অন্যদিকে উত্থান ঘটছে নতুন তারকারদের। একসময় ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, ওয়েন রুনি, জর্ডি আলবার মতো ফুটবলারদের উত্থান ঘটেছিল এই ইউরো কাপ থেকেই একথা মনে করলে ইউরো যে আগামীর তারকাদের উত্থানের মঞ্চ এই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আগামী দিনের ফুটবল বিশ্ব মাতিয়ে রাখেন মূলত তাঁরাই। সেইসব নবত্থিত তারকাদের একবার দেখে নেওয়া যাক।
মাত্র ১৬ বছর বয়সে একবিংশ শতাব্দীতে ইউরো কাপের মতো প্রতিযোগিতায় ফুটবলের বৃহৎ শক্তির হয়ে খেলতে নেমেছেন স্পেনের লামিনে জামাল। ইউরোর প্রথম ম্যাচেই তাঁকে খেলতে হয় ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে। যে দলের হয়ে খেলতে নামেন লুক মদ্রিচ। ৩৮ বছর বয়সি এই ক্রোয়েশীয় ফুটবলার যখন ২১ বছর বয়স, দ্বিতীয় বার ক্রোয়েশীয় লিগ জিতেছেন, ১৪ বার জাতীয় দলের হয়ে খেলা হয়ে গিয়েছে, তখন জন্ম জামালের। এহেন ষোড়শ বর্ষীয় একপ্রকার নাচিয়ে ছেড়েছেন ক্রোয়েশিয়ার রক্ষণভাগকে। তাঁর ক্রস থেকেই কার্জাভালের তৃতীয় গোল, নিজেও গোল করে ফেলতেন বার্সেলোনার হয়ে ৫১ ম্যাচে ৭ গোল করা এই কিশোরটি যদি না ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক ডমিনিক লিভাকোভিচ ভালো গোলরক্ষা করতেন। ২০২৪ এর ইউরো কাপে ৬টি ম্যাচে গোল করেছেন ১টি, গোলে সাহায্য করেছেন তিনটি। অন্তত ১৬ বার গোল করার চেষ্টা করেছেন। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার জার্মানির আইনে কোনও পেশাদার ফুটবলার যদি ১৭ বছরের কম বয়সি হয়, তাহলে রাত ১০টার পর তাকে দিয়ে কাজ করানো যাবে না। ফলে ৪১৮ মিনিট অর্থাৎ গড়ে ম্যাচ প্রতি ৬৯ মিনিটের কিছু বেশি সময় তাঁকে মাঠে থাকতে হয়। দেখা গিয়েছে ৮০.৩% পাস তিনি নির্ভুল দিয়েছেন।।
ফাইনালের একদিন আগে ১৭ বছরে পা দেবেন জামাল। পুরো নাম লামিনে জামাল নাসরাওই এবানা। তিনি ভেঙেছেন ২০২১ সালে গড়া পোল্যান্ডের ক্যাসপার কোজলোভস্কির স্পেনের বিপক্ষে ১৭ বছর ২৪৬ দিন বয়সে ইউরো খেলতে নামার রেকর্ড। সাংবাদিক মহলে অনেকেই তাঁকে ‘প্রডিজি’ বলে চিহ্নিত করেছেন। জামালের কথা বলতে গিয়ে অনেকেই তাঁর থেকে বয়সে বড়দের বিপক্ষে খেলা কাতালুনিয়া ক্যাডেট প্রতিযোগিতায় নিজের ইচ্ছামত খেলা নিয়ন্ত্রণ করার কথা ভাবেন।
মরোক্কোর বাবা ও ইকোয়েটোরিয়াল গিনির মায়ের সন্তান জামাল ৭ বছর বয়সে বার্সেলোনায় আসেন। ছোটবেলায় বাড়ির সামনের পার্কে ঘরের থেকে বেশি সময় কাটানো জামাল ১৯২২ সালে আর্মান্দো সাগির পর একমাত্র বার্সা ফুটবলার যিনি ১৫ বছর ২৯০ দিন বয়সে খেলতে নামেন বার্সেলোনার হয়ে, ১৬ বছর ৫৭ দিন বয়সে সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসাবে স্পেনের হয়ে গোল করেন।
স্বয়ং মেসি একবার তার একটি ভিডিও শেয়ার করে প্রশ্ন তোলেন ‘যত সহজে জামাল এটা করছে, এটা কি ততই সহজ ?’ মেসি মনে করেন আগামী দিনে ব্যালন ডি’ওরের জন্য তাঁকে জামালের সঙ্গেই প্রতিদ্বন্ধিতা করতে হবে। জামাল যদিও মনে করেন ‘আরেকটা মেসি কখনই হবে না।’ এরই মধ্যে বেস ক্যাম্পে পড়াশোনা করেছেন, পরীক্ষায় পাস করেছেন। লামিনে জামাল।
জামালের সঙ্গে আরও এক প্রায় কিশোরের নাম শোনা যাচ্ছে। আর্দা গুলের। মাত্র ১৯ বছর বয়সে গোল করে চমকে দিলেন তুরস্কের তরুণ তুর্কি আর্দা গুলের। ১৯ বছর ১১৪ দিনের মাথায় ইউরো কাপে গোল করেছেন তিনি। ভেঙে দিয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর করা ২০০৪ সালে ১৯ বছর ১২৮ দিন বয়সের ২০০৪ সালের ইউরো কাপের সেমি ফাইনালে করা গোলের রেকর্ড। আর্দা গুলেরের করা গোলটি ঠিক যেন তাঁর জীবনের প্রথম আন্তর্জাতিক গোলটির বড় মঞ্চ সংস্করণ। তাঁকে ‘ তুরস্কের মেসি’ বলা হয়। টপ বক্সের সামান্য আগে থেকে তিনি বাঁ-পায়ে গোলটি করেন তিনি। জর্জিয়ার বিপক্ষে করা এই গোলটির ঘোর কাটাতে পারেননি এখনও বহু ফুটবলপ্রেমী। শেষ ষোলোর ম্যাচে অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে তুরস্কের ২-১ গোলে বিজয়ে একটি গোলে তাঁর সাহায্য ছিল। কিশোর বয়সে একটি গোল ও দু’টি সহায়তা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ও ওয়েন রুনি ছাড়া ইউরো কাপে আর কারোর নেই। ৫টি ম্যাচে ৩৪২ মিনিট মাঠে থেকে ৮টি প্রচেষ্টা, ১টি গোল ও ২টি সহায়তা। আর্দা গুলের আগামী ইউরোপের ফুটবল ঝড়। তুরস্কের দল হিসাবে উত্থানের সম্ভাবনা সেই সুযোগকে আরও প্রসারিত করবে।
আর্দা গুলের জন্মান ২০০৫ সালে তুরস্কের আঙ্কারা প্রদেশের আলতিনদাগে। ইতিহাস বইয়ের সেই প্রাচীন এশিয়া মাইনর অঞ্চলই বর্তমানে আঙ্কারা প্রদেশ। ১৬ বছর বয়সে সিনিয়র কেরিয়ার শুরু করেন আর্দা হেলসিঙ্কির এইচ.জে.কে দলের হয়ে। ১৭ বছর বয়সে সুপার লিগে গোল করেন, ২০২২ সালে মাত্র ২৫৫মিনিট খেলে ৩টি গোল করেন ও ৩টি গোল করান। সেই সময় থেকে আর্সেনাল, লিভারপুল, বায়ার্ন মিউনিখ, বরুসিয়া ডর্টমুন্ড, বার্সেলোনা ও সাঁ-জার্মেইঁ তাঁকে নিয়ে উৎসাহ দেখায়। ১৮ বছর হওয়ার আগেই তিনি দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন এবং ১৮ বছর বয়সের পরেই ওয়েলসের হয়ে প্রথম গোল করেন।
এই ইউরোর আরেক কিশোর তারকা কোবি মাইনু। মাত্র ১৯ বছর ৮২ দিন বয়সে তিনি ইংল্যান্ডের হয়ে বড় প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে খেলতে নামেন। গোড়ালির চোট কাটিয়ে উঠে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ গোল করা মাইনু গত মার্চে জাতীয় দলের হয়ে প্রথম খেলার সুযোগ পান। ম্যানচেস্টার সিটির বিরুদ্ধে তাঁর মরশুমের শেষ গোল লোকগাথায় পরিণত হয়েছে। ইউরোর পাঁচ ম্যাচে কোনও গোল পাননি, কিন্তু তাঁর বুদ্ধি, ব্যালান্স ও মাঠের মধ্যে খেলার ধাঁচ দেখে সবাই নিশ্চিত যে আরেক তারকার উত্থান ঘটলো।
মাইনুর স্বদেশি, জুড বেলিংহ্যাম, ইংল্যান্ডের কোচ সাউথগেটের অন্যতম ভরসা। ইংল্যান্ডের প্রথম ম্যাচেই খেলায় বুকায়ো সাকার ডিফ্লেক্টেড ক্রস থেকে বেলিংহামের শক্তিশালী হেডার সার্বিয়ার বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে জয় এনে দেয়, তিনি ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন।
স্লোভাকিয়ার বিরুদ্ধে শেষ ষোলোর খেলায়, তিনি স্টপেজ টাইমে একটি ওভারহেড শটে গোল করে ৯৫তম মিনিটে ম্যাচটিতে ১-১-এ সমতা আনেন। তাঁর দল অতিরিক্ত সময়ে ২-১ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে, যেখানে তিনি ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার লাভ করেন। সমতা ফেরানোর করার পর, বেলিংহাম তার ক্রোচ ধরে প্রতিপক্ষের রিজার্ভ বেঞ্চের দিকে ইশারা করেন, দাবি করেন যে এটি ‘কিছু ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের’ উদ্দেশ্যে একটি অভ্যন্তরীণ রসিকতা ছিল। যদিও উয়েফা পরবর্তীতে বেলিংহামের আচরণের তদন্ত শুরু করে, খেলোয়াড়কে এক ম্যাচের স্থগিত নিষেধাজ্ঞা এবং ৩০, ০০০ ইউরো জরিমানা প্রদান করে।
সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে, বেলিংহাম পুরো ১২০ মিনিট খেলেন এবং পেনাল্টি শুটআউটের দ্বিতীয় কিকটিতে গোল করেন ও ইংল্যান্ড ৫-৩ গোলে জিতেছিল ম্যাচটি।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ৭ মিনিটের মাথায় গোল করে সাড়া ফেলে দেন জাভি সিমন্স। ২১ বছর বয়সে নেদারল্যান্ড দলে খেলার সুযোগ পেয়ে আইসল্যান্ডের বিরুদ্ধে গোল করেন। যদিও ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ নেদারল্যান্ডস কিন্তু সিমন্স যে এইভাবে ইউরো কাপে উঠে আসবেন, তা অনেকেই মনে করেছিলেন। বুন্দেসলিগার ৩২টি ম্যাচে ৮ টি গোল করা ও ১১টি গোলে সাহায্যকারী এই আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার ডাচ দলের নির্ভরযোগ্য হয়ে ওঠা ছিল সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
একাধিক স্ট্রাইকার-মিডফিল্ডারের মধ্যে গোলকিপার না এলে ফুটবল খেলা হয় না। এবারের ইউরোর ২১ বছর বয়সি নেদারল্যান্ডের বার্ট ভারব্রুগেন ৬০ বছর ধরে ইউরো কাপের ইতিহাসে খেলা সর্বকনিষ্ঠ কিপার এবারের ইউরো কাপে রীতিমত আলোচনার বিষয়। পোল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের ২-১ ব্যবধানে গ্রুপ খেলার জয়ে তিনিই গোল বাঁচিয়েছিলেন। ফ্রান্সের বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলে একটাও গোল খাননি। তুরস্কের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের শেষ পর্যায়ে ভারব্রুগেন সামনে চলে আসেন। তাঁর জন্যই ডাচ দল সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয়।
বেলজিয়ামের ঘানা বংশোদ্ভূত জেরেমি ডোকু মাত্র ২২ বছর বয়সি ম্যানচেস্টার সিটির এই স্ট্রাইকার ক্লাবের হয়ে ৩টি গোল করেন ও ৮টায় সাহায্য করেন। ডোকু এবং সাদিও মানের মধ্যে তুলনা শুরু হয়ে গেছে। এই তুলনা শুরু করেন জার্মান ম্যানেজার জুর্গেন ক্লপ। ২০১৭ সালে প্রিমিয়ার লিগের দল লিভারপুলে ডোকুকে নিয়োগ করার চেষ্টা করার সময় তিনি ডোকুর বাবার কাছে মন্তব্য করেছিলেন। ইউরো ২০২০-এর জন্য ডোকুকে ডাকার পর, বেলজিয়ামের ম্যানেজার রবার্তো মার্টিনেজ তাকে ‘একজন ব্যতিক্রমী প্রতিভা’ বলে বর্ণনা করেন। মার্টিনেজ ২০২২ সালের বিশ্বকাপের আগে ডোকুকেও প্রশংসা করেছিলেন। এপ্রিল ২০২৩ সালে, আর্সেনালের প্রাক্তন অধিনায়ক থিয়েরি অঁরি ডকুকে ‘অসাধারণ’ বলে অভিহিত করেছেন, যোগ করেছেন যে ‘এত দ্রুত ড্রিবল করতে কাউকে দেখিনি।’ অনেকেই মনে করেন, ভবিষ্যদ্বাণী করে যে ডকু ভবিষ্যতে বিশ্বের ২০ জন সেরা খেলোয়াড়ের একজন হয়ে উঠবে।
ইউরোর গ্রুপ পর্যায়ে তিনি ২৬টি ড্রিবল করেন। এবারের ইউরো কাপে কোনও গোল নেই, সহায়তাও করেননি, কিন্তু গড়ে ৮০ মিনিট মাঠে থেকে ৮২% নির্ভুল পাস দিয়েছেন। ৬ বার গোলমুখী প্রচেষ্টাও করেছেন।
জার্মানির ফ্লোরিয়ান উইর্টজ, যার বয়স মাত্র ২১ বছর, সেই অ্যাট্যাকিং মিডফিল্ডারটি লেভারকুসেন ক্লাবের হয়ে ১৮ টি করেছেন, সাহায্য করেছেন আরও ১৯টি গোলে। তাঁকে দলে পেতে বিশেষভাবে আগ্রহী রিয়্যাল মাদ্রিদ, ম্যাঞ্চেস্টার সিটি ও লিভারপুলের মতো ক্লাবগুলি। ৭ জুন ২০২৪, উইর্টজকে উয়েফা ইউরো ২০২৪-এর জন্য জার্মানির দলে নেওয়া হয়। ১৪ জুন, তিনি স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫-১ গোলে জয়ের ক্ষেত্রে প্রথম গোল করেন। তিনি ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে গোল করা সর্বকনিষ্ঠ জার্মান খেলোয়াড় হয়ে ওঠেন। এই গোলের সময় তাঁর বয়স ছিল ২১ বছর এবং ৪২ দিন। তিনি ভেঙে কাই হাভার্টজের আগের রেকর্ড। স্পেনের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে, উইর্টজ হাফ টাইমে লিওরি সানের জায়গায় নেমে ৮৯ মিনিটে গোল করে সমতা ফেরান, যা ম্যাচটিকে অতিরিক্ত সময়ে নিয়ে যায়। স্পেন যদিও ১১৯ মিনিটে ২-১ গোল করে ম্যাচ জিতে জার্মানিকে প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে দেয়।
জর্জিয়ার কথা না বললে আলোচনা অসম্পূর্ণ থাকবে। একসময় ফিফা ক্রমতালিকায় ভারতের থেকেও নিচে থাকা জর্জিয়া এবারের ইউরো কাপে শেষ ষোলোয় উঠেছিল। এই জর্জিয়ার খেলোয়াড় খিচা খোয়ারাৎসখেলিয়া। কিংবদন্তি দিয়েগো মারাদোনার নামানুসারে খোয়ারাৎসখেলিয়াকে ‘খোয়ারাদোনা’ ডাকনাম দেওয়া হয়েছে। তাঁকে ‘জর্জিয়ান মেসি’ও বলা হয় ড্রিবলিং করার আগ্রহের কারণে। ২৬ জুন, তিনি ম্যাচের সেরা হন, গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পর্তুগালের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে জয়ের দ্বিতীয় মিনিটে টুর্নামেন্টে তার প্রথম গোলটি করে, যার জন্য প্রথমবার ইউরো কাপে খেলতে নেমেই নক আউট পর্বে ওঠে জর্জিয়া।
এবারে ইউরো কাপে তারুণ্যের জয়জয়কার। জামাল থেকে গুলের, উইর্টজ থেকে ডোকু, প্রায় সকলের বয়স ২৩ বছরের নিচে। একদিকে যখন ক্রুস বা রোলান্ডো বিদায় নিতে চলেছেন, কোপা থেকে ঘটছে মেসি-সুয়ারেজদের বিদায়, তখন জামাল-গুলেররা নতুন যুগের পদধ্বনি শোনাচ্ছেন।
Comments :0