আনন্দপুর থানা এলাকার তিনটি জায়গা থেকে উদ্ধার তিনজনের দেহ। সোমবার সকালে আনন্দপুরের একটি হোটেল থেকে উদ্ধার হয় পানশালার এক নর্তকীর অচৈতন্য দেহ। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান অতিরিক্ত মদ্যপানের জন্য এই ঘটনা ঘটেছে।
মৃত তরুণীর নাম শ্রেয়া বর্মা। পাঞ্জাবের লুধিয়ানার বাসিন্দা। রবিবার রাতে এক বন্ধুর সাথে আনন্দপুরের একটি গেস্ট হাউসে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁরা মদ্যপান করেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। সোমবার ভোরে পুরুষ বন্ধুটি বেরিয়ে যাওয়ার পর অসুস্থ বোধ করতে থাকেন তিনি। পুরুষ বন্ধুটিকে ফোন করে ডাকেন তিনি। তারপর ওই যুবকই তাকে অচৈতন্য অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকেরা ওই তরুণীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
কি ভাবে মৃত্যু তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে ময়নাতদন্তে অস্বাভাবিক কিছু ধরা পড়েনি বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে গতকালই দুপুর ১২টা নাগাদ আনন্দপুর থানা এলাকাতেই বাইপাসের ধারের এক পিকনিক স্পটে গাছের ডাল থেকে ওই ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। গলায় গামছার ফাঁস ছিল। দেহটিকে উদ্ধার করে নীলরতন মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর পাশাপাশি নোনাডাঙা এলাকার বাসিন্দা মৌসুমী মণ্ডলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে তার বাড়ি থেকে। মৃতার স্বামী জানিয়েছেন রাতে তিনি বাড়িতে ছিলেন না সকালে এসে স্ত্রী’র ঝুলন্ত দেহ তিনি দেখতে পান। তিনি জানিয়েছেন তাদের মধ্যে কোন সমস্যা ছিল না।
একসাথে তিনটি অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আনন্দপুর এলাকায় তৈরি হয়েছে রহস্য। প্রতিটা ঘটনারই তদন্ত করছে পুলিশ।
Comments :0