দীপশুভ্র সান্যাল, জলপাইগুড়ি
দক্ষিণবঙ্গের বন্যা হলেও উত্তরবঙ্গে পুরো অন্য ছবি। বৃষ্টির অভাবে কৃষি কাজের জমি শুকিয়ে কাঠ, মাথায় হাত কৃষকদের।
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী জলপাইগুড়ি জেলা জুড়ে বৃষ্টির কথা থাকলেও বৃষ্টির দেখা নেই।
এখানকার মানুষের চাষবাস প্রধান জীবিকা। প্রতি বছর বর্ষার সময় বৃষ্টির জল ধরে রেখে কৃষকেরা জমিতে চাষ করেন আমন ধান। সারা বছরের ঘরের খাওয়ার জোগাড় করেন কৃষকেরা। ধান বিক্রি করে শারদীয়া উৎসবের আগে কিছু অর্থও আসে। কিন্তু বৃষ্টির অভাবে সব অনিশ্চিত।
ধান কাটার আগে বৃষ্টির প্রয়োজন, তাতে ধানের গোড়া পুষ্ট হয়। মাঝে এক দু’দিন বৃষ্টি হলেও পরিমাণ সামান্য। ফলে চাষের জমি শুকিয়ে কাঠ, পুকুরেও নেই জল, সেচ ক্যানেলে আসছে না জল। ফসল তোলার মুখে রোদে পুড়ে নষ্ট হচ্ছে ধান গাছ।
উত্তরবঙ্গে তো দোআঁশ মাটি। জল ধারণ ক্ষমতা খুবই কম। কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে বর্তমানে জলপাইগুড়ি জেলায় এক লক্ষ ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে এখন পর্যন্ত। অনাবৃষ্টির কারণে কৃষি প্রধান রাজগঞ্জ ব্লকের কিছু জমিতে পোকার আক্রমণে ধান গাছের কিছু ক্ষত দেখা গিয়েছে। দ্রুত সেখানে ওষুধ স্প্রে করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজগঞ্জ ব্লকের কৃষক সমীর মন্ডল জানান লাগাতার বৃষ্টি হলে জমিতে জল ঠিকই থাকে। কিন্তু দীর্ঘ বেশ কিছুদিন ধরে বৃষ্টির দেখা নেই বলে পুকুরের সামান্য জল মেশিন দিয়ে জমিতে দিয়ে ধানগাছ বাঁচানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় তা সামান্য। একমাত্র উপায় তিস্তার সেচ ক্যানেল। কিন্তু সেই সেচ ক্যানেলে আসছে না জল। যার ফলে ধান গাছ জল পাচ্ছে না।
এ বিষয়ে কৃষি দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর গোপাল চন্দ্র সাহা বলেছেন, ‘‘রাজগঞ্জের বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখেছি অনেক চাষের জমি নষ্ট হয়েছে। সেচ ক্যানেলে জল আসছে কিন্তু খুব কম যার ফলে জমিতে পাচ্ছে না জল। সেচ দপ্তরে জানানো হয়েছে। খুব দ্রুত আরো জল ছাড়া হবে।’’
কৃষকেরা চাইছেন যাতে খুব দ্রুত তিস্তার সেচ ক্যানেল থেকে ভাল পরিমাণ জল ছাড়া হয়, প্রশাসনের কাছে এটাই দাবি তাঁদের।
Comments :0