Hakimi Morocco

হাকিমিরা এখন জাতীয় নায়ক

খেলা

 কাতারে শেষ অবধি আরব্য রজনী লেখা হয়ে ওঠেনি। কিন্তু যতদূর হয়েছে তাই বা কম কী! প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসাবে পৌঁছনো গেছে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে। শেষ চারের লড়াইয়ের পর তৃতীয় স্থানের ম্যাচেও ক্রোয়েশিয়ার কাছে হারতে হয়েছে মরক্কোকে। শেষটুকুই যা ভালো হয়নি। তাও দেশের মানুষের কাছে নায়কের সম্মান পেলেন মরক্কোর ফুটবলাররা।

কাতার বিশ্বকাপের কালো ঘোড়া ছিল মরক্কো। অনেক বিশেষজ্ঞেরই হিসাব বদলে দিয়েছে তারা। বেলজিয়াম, স্পেন, পর্তুগালের মতো ফুটবল বিশ্বের প্রথম সারির দলকে হারিয়েছেন তাঁরা। আফ্রিকার প্রথম দেশ হিসাবে প্রথমে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে এবং পরে সেমিফাইনালে উঠেছেন হাকিমিরা। বিশ্বকাপ শুরুর আগে বিশ্বের কোনও বিশেষজ্ঞই মনে করেননি মরক্কো গ্রুপের বাধা অতিক্রম করতে পারবে।

বিশ্বকাপ অভিযান শেষ করে দেশে ফেরা মরক্কোর ফুটবলারদের স্বাগত জানাতে আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলেন ফুটবলপ্রেমীরা। বিমানবন্দর থেকে হুড খোলা বাসে করে ফুটবলারদের নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানী রাবাতের প্রাণকেন্দ্রে। জাতীয় পতাকা, জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ফুটবলপ্রেমীরা উৎসবে মাতেন। অনেকে এসেছিলেন ড্রাম নিয়ে। আনন্দে মাতোয়ারা বহু মানুষকে নাচতে বা লাফাতে দেখা গিয়েছে। যাত্রা পথের দু’দিকে হাজার হাজার মানুষ দাঁড়িয়ে ছিলেন ফুটবলারদের স্বাগত জানানোর জন্য। রাবাতের প্রধান সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ফুটবলারদের বাস ঘিরে রেখেছিলেন নিরাপত্তা কর্মীরা।

আতসবাজি, সঙ্গীতের উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা মরক্কোর সাধারণ মানুষ। একবার ফুটবলারদের ছুঁয়ে দেখার চেষ্টাও করছিলেন অনেকেই। যদিও নিরাপত্তার জন্য ফুটবলারদের কাছাকাছি কাউকে যেতে দেওয়া হয়নি। উচ্ছ্বসিত ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে ছিলেন প্রচুর মহিলা এবং শিশুও। সকলেই দলের পারফরম্যান্স নিয়ে উচ্ছ্বসিত। ফুটবলারদের লড়াইয়ের প্রশংসা করছেন। চতুর্থ স্থানে শেষ করলেও মরক্কোর সাধারণ মানুষের কোনও আক্ষেপ নেই। ফুটবলারদের এখন জাতীয় নায়কের চোখে দেখছে তাঁরা। সাধারণ মানুষের উন্মাদনায় আপ্লুত মরক্কোর কোচ, ফুটবলাররাও। হাসি মুখে হাত নেড়ে তাঁরা মানুষের আবেগ, ভালোবাসার জবাব দেন।
 

Comments :0

Login to leave a comment