SALIM on NABANNA MEET

ধমক দেওয়ার মিটিংয়ের তো লাইভ স্ট্রিমিং হয়: সেলিম

রাজ্য

ছবি সংগ্রহ থেকে।

প্রশাসনিক বৈঠকে আধিকারিকদের ধমক দেওয়ার বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিং হতে পারে, সংবাদমাধ্যম থাকতে পারে, জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক তা’হলে সরাসরি সম্প্রচারে বাধা কোথায়?
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে বৃহস্পতিবার এই প্রশ্ন তুলেছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। মুখ্যমন্ত্রী সন্ধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করে যুক্তি দেন যে বিচারাধীন বিষয়ে লাইভ স্ট্রিমিং করা সম্ভব নয়। 
সেলিম বলেছেন, সুপ্রিম কোর্ট বা হাইকোর্টের শুনানি প্রক্রিয়ারও তো লাইভ স্ট্রিমিং হয়। আমরাই সংসদে এই দাবি তুলেছিলাম। তখন কেবল নিম্ন আদালতে লাইভ স্ট্রিমিং হলেও সুপ্রিম কোর্টের শুনানি হতো না। 
সেলিম বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নিজেই কোনও দাবি মানছেন না। কেবল নিজের দাবি জানাচ্ছেন।’’
জুনিয়র ডাক্তাররা ২০ জনের প্রতিনিধিদলকে বৈঠকে বসার অনুমতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। ৩৪ জনের প্রতিনিধিদল স্বাস্থ্যভবনের সামনে ধরনা মঞ্চ থেকে নবান্নে চলে যান। মুখ্যমন্ত্রী সন্ধ্যায় বলেছেন যে ১৫ জন বলা হলেও কাউকে আটকানো হয়নি। 
এই জটিলতার মধ্যেই বিকেলে সেলিম প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের মনোভাবে। তিনি মনে করিয়ে দেন যে বাঙুর ইনস্টিটিউট অব নিউরোলজিতে মুখ্যমন্ত্রী সংবাদবাদমাধ্যমে র বিশাল বাহিনী নিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন। সংবাদমাধ্যম নিয়ে হাসপাতালে প্রবেশে আপত্তি জানিয়েছিলেন চিকিৎসক এস পি গড়াই। তার জন্য শাস্তির মুখে পড়তে হয়েচিল তাঁকে। 
সেলিম বলেন, ‘‘আইসিইউ-তে দলবল নিয়ে ঢোকা যায় না। কিন্তু নবান্নে এই ৩০ জনের প্রতিনিধিদলকে ঢুকতে দিতে বাধা কেন।’’ 
শেষ পর্যন্ত যদিও বৈঠক হয়নি। 
রাজ্য সরকার এবং তৃণমূল কংগ্রেস টানা বলে চলেছে যে পরিষেবা বিপর্যস্ত হচ্ছে। আগের দিনই জুনিয়র ডাক্তাররা বলেছিলেন তাঁরা ৭ হাজারের কিছু বেশি। তাঁরা শিক্ষানবিশ। আর রাজ্যে নথিভুক্ত চিকিৎসক ১ লক্ষের কাছাকাছি। তা’হলে সমস্যা কেন হবে।
এই প্রশ্ন তোলেন সেলিমও। তিনি বলেন, কেবল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তার থাকেন। তার বাইরে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে সরকারি চিকিৎসা পরিকাঠামো রয়েছে সেখানো তো জুনিয়র ডাক্তাররা নেই। তা’হলে পরিষেবা কাঠামো ভেঙে পড়বে কেন? মুখ্যমন্ত্রী যে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ঘোষণা করেছেন, সেগুলি তা’হলে কী পরিষেবা দিচ্ছে? আগে রাজ্য সরকার দেখুক সব স্তর থেকে কেন বিপুল সংখ্যায় রোগীকে ‘রেফার’ করে দিতে হচ্ছে, কেন সেই হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা মিলছে না। মুখ্যমন্ত্রী বলার পরও ‘রেফার’ বন্ধ হয়নি কেন? 
পাটুলি থানার আইসি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন সিপিআই(এম)-কে ব্যঙ্গ করে। আর জি করে বিচারের দাবিতে আন্দোলনের পাশে সিপিআই(এম) থাকায় ক্ষোভ সেই পুলিশ আধিকারিকের। 
এ প্রসঙ্গে সেলিম জানিয়েছেন যে কলকাতা হাইকোর্টে ওই আইসি’র বিরুদ্ধে দায়ের হচ্ছে মামলা। আদালতে জবাবদিহি করতে হবে এই পুলিশ আধিকারিককে। 
সেলিমের মন্তব্য, ‘সিপি‘ মানে আর কলকাতার পুলিশ কমিশনার নয়, বরং ‘চিফ প্রোপাগান্ডিস্ট‘ (মুখ্য প্রচারক)। তৃণমূল সরকার পুলিশ আধিকারিকদের দিয়ে মিথ্যা বলাচ্ছে। প্রথম দিন থেকে পুলিশকে মিথ্যা প্রচারে ব্যবহার করা হচ্ছে। কেন পুলিশ পাইলট কার নিয়ে নির্যাতিতার দেহ তৃণমূলের নেতার দায়িত্বে ছেড়ে এসেছিল, তার জবাব দিতে হবে। 
সেলিম বলেন, রাজনৈতিক কর্মীরা রাজনৈতিক পোস্ট করলে তাদের হেনস্তা করছে পুলিশ। আর নিজেরা দলদাসের মতো রাজনৈতিক প্রচারে শামিল হচ্ছে।     

Comments :0

Login to leave a comment