কিন্তু প্রধানমন্ত্রী যে কথা নির্বাচনী জনসভা থেকে বলছেন তার সাথে এখনকার ত্রিপুরার কোন মিল নেই। ২০১৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর ত্রিপুরায় লেনিন মূর্তি ভাঙা দিয়ে সিপিআই(এম) কর্মী এবং দপ্তরের ওপর আক্রমণ শুরু করে বিজেপি। তারপর পাঁচ বছর ধরে একটানা চলেছে আক্রমণ। বিরোধী দলনেতা মানিক সরকারের কনভয় থেকে শুরু করে রাজ্য দপ্তর, আক্রান্ত হয়েছে বিজেপি’র হাতে।
২০২১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর আগরতলায় রাজ্য দপ্তরের হামলা চালায় বিজেপির গুন্ডা বাহিনী। ভাঙা হয় দলীয় কার্যালয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় একাধিক গাড়ি। হামলা চলে ডেইলি দেশের কথা’র দপ্তরেও। এর আগে শান্তিরবাজারের দলীয় কার্যালয়তে চলে হামলা।
পাঁচ বছরের বিজেপি শাসনে আক্রান্ত হয়েছেন বহু সিপিআই(এম) কর্মী। শহীদ হয়েছেন অনেকে। বিজেপির হাতে আক্রান্ত হয়েছে মহিলা নেত্রী মালিনী লস্কর। সিপিআই(এম) কর্মী অনুপ দাস এবং তাঁর পরিবার আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত হয়েছেন সোনামুরার সিপিআই(এম) নেতা সুভাষ দেব সহ একাধিক সিপিআই(এম) কর্মী সমর্থক।
শুধুমাত্র সিপিআই(এম) নেতা কর্মীরা নন। বিজেপি’র ‘শুশাসনে’ আক্রান্ত হয়েছে বহু সংবাদমাধ্যমের কর্মী। প্রতিবাদী কলমের দপ্তরের চলেছে ভাঙচুড়। হামলা হয়েছে পিবি ২৪ এর দপ্তরেও।
উল্লেখ্য পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি নেতারা তৃণমূলের সন্ত্রাসের সমালোচনা করেন। আবার ত্রিপুরায় গিয়ে তৃণমূল বিজেপি’র সন্ত্রাসের সমালোচনা করে। কিন্তু এই দুই দলই বিরোধী শূন্য রাজনীতিতে বিশ্বাসী। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে রাজ্যের প্রতিটা নির্বাচনে বুথ দখল, ছাপ্পা, বিরোধী প্রার্থীর ওপর হামলার ছবি দেখা গিয়েছে। বিজেপি শাসিত ত্রিপুরাতেও সেই একই ছবি দেখা গিয়েছে ২০১৮ সালের পর থেকে।
Comments :0