সমন্বয় ভট্টাচার্য
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাতেও উঠে এল সুন্দরবনবাসীর দুর্দশার কথা। অতিমারী, লকডাউন ও ঘূর্ণিঝড়ের সম্মিলিত প্রভাবে ঘরছাড়া, কাজহারা হাজার হাজার সুন্দরবনবাসী। মহামারী পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার এতদিন পরেও নিজের এলাকায় কাজ পাচ্ছেন না মানুষ। কাজের খোঁজে ভিনরাজ্যে পাড়ি দিতে বাধ্য হয়েছেন তাঁদের অধিকাংশ। যাঁরা নিজের অঞ্চলে থেকেই ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলেন তাঁরাও আজ দিশাহারা। ঋণ শোধ করতে না পারায় রাস্তায়, হাটে কাজের খোঁজ করে বেড়াচ্ছেন তাঁদের অনেকেই। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওশিয়ানোগ্রাফি বিভাগের গবেষকদের সুন্দরবন বদ্বীপ অঞ্চল সংক্রান্ত সাম্প্রতিক গবেষণায় সামনে এসেছে এমনই সব চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সেই সঙ্গে রাজনৈতিক কারণে সুন্দরবনের বাসিন্দাদের ত্রাণ ও উন্নয়নে বৈষম্যের যে অভিযোগ নানা মহল থেকে করা হয়ে থাকে তাকেও মান্যতা দিয়ে এই গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, দুর্দশাগ্রস্ত মানুষকে ত্রাণ ও ক্ষতিপূরণ প্রদানে রাজনৈতিক কারণে বৈষম্য করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত নয় এমন মানুষও সুবিধাভোগী হয়েছে, আর প্রকৃতি ক্ষতিগ্রস্তরা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এরফলে লকডাউন ও আমফান পরবর্তী সময়কালে সুন্দরবনের মানুষের জীবনে সঙ্কট আরও বেড়েছে। গবেষণা রিপোর্টের সুপারিশে বলা হয়েছে, সুবিধাপ্রাপক নির্বাচনে পক্ষপাত দূর করতে সরকারের তরফ থেকে সর্বস্তরে আরও নজরদারির প্রয়োজন আছে।
মহামারীর বিপর্যয়ের মধ্যেই আরও দুটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হতে হয়েছিল সুন্দরবনের মানুষকে। ২০২০সালের আমফান ও ২০২১সালের ইয়াস নামক দুই ঘূর্ণিঝড় তছনছ করে দেয় বঙ্গোপসাগরের দ্বীপগুলিকে। তাদের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৫৫ থেকে ১৬৬ কিলোমিটার পর্যন্ত। তারপর পার হয়ে গেছে বেশ কিছুদিন। আপাত দৃষ্টিতে স্বাভাবিক হয়েছে সুন্দরবন। তবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা রিপোর্ট জানাচ্ছে ভেতরের চিত্রটি সম্পূর্ণ আলাদা। মহামারী, লকডাউন ও সমসাময়িক প্রাকৃতিক দুর্যোগের কালো ঝড়ের অন্ধকারে আজও তলিয়ে সুন্দরবন। অনিশ্চয়তা, অস্থিরতা আজও পিছু ছাড়েনি সেখানের মানুষদের। আরও জানা গেছে, দুর্যোগের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ইনফর্মাল সেক্টর বা অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকরা।
এই প্রসঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন সুন্দরবনের গোসাবার বাসিন্দা দীর্ঘদিনের এক পরিযায়ী শ্রমিক ভীম দাস। তিনি বলেন, ‘২০০৮সাল থেকে আমি কেরালায় কাজ করছি। এতদিন কাজ করার ফলে স্বাভাবিকভাবেই আমার কিছু পরিচিতি রয়েছে সেখানে। বেশ কয়েক বছর ধরেই আমি আমার এলাকার বেশ কিছু মানুষকে কেরালায় কাজ করাতে নিয়ে যাই। কিন্তু লকডাউনের সময় থেকেই সুন্দরবন এলাকায় মানুষের কাজের হাহাকার অন্যমাত্রায় পৌঁছেছে। আগে প্রতিবছর গড়ে ২০ থেকে ২২জন আমার সঙ্গে ভিন রাজ্যে কাজের জন্য যোগাযোগ করত। আর এখন সেই সংখ্যা অগুনতি! অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে কিন্তু এখন বাড়ি ফিরলে বাজারে যেতে পর্যন্ত ভয় হয় আমার। যেখানেই লোকে দেখে সেখানেই আমাকে ঘিরে ভিড় করে। কাজের বায়না করতে থাকে বিপুল সংখ্যক মানুষ। এত লোককে আমি কোথায় নিয়ে গিয়ে কাজ দেব!’
ভীম দাসের পরিচিত এবং ২০০৬ সাল থেকে রাজমিস্ত্রির কাজে যুক্ত গোসাবার এক অস্থায়ী কর্মী চন্দন কোটাল জানাচ্ছেন, ‘আমাদের কাজের ঠিকঠিকানা কোনোদিনই নেই। তবুও লকডাউনের আগে সপ্তাহে দুই দিন করে কাজ অন্তত পেতাম, তাতে সংসার কোনোরকমে চলে যেত। কিন্তু এখন পুরোটাই অন্ধকার। আমার বাড়িতে স্ত্রী-পুত্র মিলিয়ে মোট ৪জন মানুষ। এতগুলো লোককে কতদিন না খাইয়ে রাখব! তাই ভীমদার পা ধরেছি, তিনি বলেছেন একটা ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু তিনিই বা আর কত লোককে দেখতে পারবেন!’
ভীম দাস জানিয়েছেন, রাজ্য এবং কেন্দ্রের সরকার করোনার শুরু থেকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলিকে কেন্দ্র করে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকলেও আজ অবধি তার কোনোরকম সুবিধা পাননি সেখানকার প্রান্তিক মানুষেরা। প্রসঙ্গত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাতেও সেই কথা উঠে এসেছে। সেখানে বলা হচ্ছে সরকারি রিলিফ স্কিমগুলির সঠিক বণ্টন হয়নি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যাদের প্রয়োজন তারা কিছু পাননি, অথচ যাদের পাওয়ার কথা নয়, তারা পেয়ে গেছেন অনেক কিছু।
‘শেষ দুবছর ধরে অনেক কিছুই বলেছেন প্রশাসনিক কর্তারা। কিন্তু তার কোনোটাই বাস্তবে করে দেখাতে পারেননি তারা। এদিকে মানুষের দুর্দশা বেড়েই চলছে ওদিকে তারা প্রতিশ্রুতির ঘুড়ি ওড়াচ্ছেন বারবার। ঘূর্ণিঝড়ের ত্রাণ থেকে শুরু করে, পাকা বাড়ি নির্মাণ ইত্যাদি সমস্তরকম সাহায্য কেবলই ঘোষণা করে গেছে প্রশাসন। তার বেশিরভাগেরই কোনও বাস্তবায়ন হয়নি, আর যেখানেও বা কিছু টাকা এসেছে তা চলে গেছে প্রভাবশালীদের হাতে।
তিনি বলেছেন, ‘বামফ্রন্ট সরকারের আমলে যে সমস্ত কৃষি ঋণ ইত্যাদি গ্রামের প্রান্তিক মানুষের স্বার্থে সরকার থেকে ব্যবস্থা করা হতো, তার সবই প্রায় তুলে দিয়েছে বর্তমান সরকার। এখন সরকারি কোনও ঋণ পান না গ্রামের মানুষ। নতুন কোনও ব্যবসা শুরু করতে তাঁদের একমাত্র রাস্তা বন্ধন ব্যাঙ্কের মতো বেসরকারি সংস্থার হাত ধরা। সেখানে আবার ঋণের ওপরে দিতে হয় চড়া সুদ। ফলে গরির মানুষের পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে ‘জলে কুমির ডাঙায় বাঘের মতো’। পুরানো কাজকর্ম সকলই হারিয়েছেন। নতুন ব্যবসা শুরু করতে যে ঋণ নিয়েছিলেন তা শোধ করা সম্ভব হয়নি। ফলে সেই ব্যবসাও লাটে উঠেছে। বরং এখন সেই ঋণ শোধ দিতে বাসস্থান ছেড়ে অন্য রাজ্যে পাড়ি দিতে হচ্ছে তাঁদের। যাঁরা সেখানে কাজ পাচ্ছেন তাঁরা একরকম আশার মুখ দেখছেন। কিন্তু যাঁদের সেই ব্যবস্থাও হচ্ছে না তাঁরা পড়ে রয়েছেন অথৈ জলে। হাটে, বাজারে ভিড় করছেন, আমার মতো যখনই কোনও বাইরের লোক দেখছেন কাজের ভিক্ষা করে বেড়াচ্ছেন অনর্গল।’
এই প্রসঙ্গে বিভীষণ রঞ্জিত নামে গোসাবার এক বাসিন্দা জানাচ্ছেন যে ২০২১ সালে ব্যাঙ্কের থেকে ঋণ নিয়ে তিনি একটি টোটো কিনেছিলেন। সেই সময় টোটোর মাধ্যমে ঠিকঠাক রোজগার হতো। লকডাউন পর্যন্ত তেমন অসুবিধা হয়নি তাঁর। ব্যাঙ্কের ঋণও সময়মতো দিতে পারছিলেন। কিন্তু লকডাউনের সময় থেকে জীবন পালটে গেল তাঁর। টোটোর ব্যবসায় জন্ম নিল চরম মন্দা। সাধারণ মানুষের হাতে পয়সা নেই। টোটোর খদ্দের কমে গেল অনেক। এদিকে জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলেছে। ফলে ভাড়াও বাড়াতে হলো। তাতে আরও আকাল দেখা দিল টোটোর কারবারে। শেষে টোটো বিক্রি করে দিতে বাধ্য হলেন বিভীষণ। তা দিয়ে ব্যাঙ্কের বকেয়া কিছুটা মিটল। কিন্তু রোজগারের সুযোগ বরাবরের মতো চলে গেল। এরপর কী? কোনও সুরাহা মিলল না। শেষপর্যন্ত তাঁর এক বন্ধুর উপদেশে উপকূল থেকে মাছ সংগ্রহ করে তাঁর এলাকার বাজারে বিক্রির কাজে নামলেন তিনি। তাতে যা উপার্জন হচ্ছে তাঁর সংসার কোনোমতে চলে যাওয়ার মতো। কিন্তু ঋণ এখনও পুরো শোধ হয়নি, তার কী হবে? প্রতি সপ্তাহে পাওনাদার তাঁর বাড়িতে ঢুঁ মারে। কখনও শাসিয়ে যায়।
কাজের বিষয়ে তিনি কেন পঞ্চায়েতের লোকেদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন না? এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, তাতে কোনও লাভ হবে না। এলাকার সরকারি প্রতিনিধিরা ভোটের আগে কখনও দেখা দেয় না। সরকারের ঘোষিত সুযোগ-সুবিধা যা ঘোষণা করা হয় তার সবটাই পায় শাসকদলের তাঁবেদাররাই। সাধারণ মানুষের জন্য কোনও ব্যবস্থাই করে না তারা। লকডাউনের পর গোটা সুন্দরবন এলাকা জুড়ে বহু মানুষ পঞ্চায়েতের কাছে গেছেন সাহায্যের জন্য, সকলকেই ফিরতে হয়েছে খালি হাতে।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার তৎকালীন জেলা শাসক পিবি সেলিম একটি রিপোর্ট পেশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। রিপোর্টির শিরোনাম ছিল ‘ডিস্ট্রিক্ট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান ২০১৫।’ পিবি সেলিমের সেই রিপোর্টে জানানো হয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার অন্তর্গত সুন্দরবনের ৮টি ব্লকের প্রায় ৯লক্ষ মানুষ এখন ‘বিপন্ন’। সুন্দরবনের ১৯টি ব্লকসহ রাজ্যের উপকূলবর্তী প্রায় ২৫টি ব্লকে আশঙ্কার জীবন কাটাচ্ছেন অন্তত ৩০ লক্ষ মানুষ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার তেরোটি ব্লক সুন্দরবনের মধ্যে। তার আটটি ব্লকের ৫২টি পঞ্চায়েত এলাকায় বসবাস প্রায় ৯লক্ষ মানুষের। তাঁরা রয়েছেন অত্যন্ত ‘বিপজ্জনক অবস্থায়’। জানিয়েছিলেন খোদ দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা শাসক পিবি সেলিম — তাঁর লিখিত রিপোর্টে। নবান্নে জমা পড়া তাঁর রিপোর্টটির শিরোনাম — ‘ডিস্ট্রিক্ট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান ২০১৫।’ রিপোর্টের তথ্য অনুসারে ‘বন্যা প্রবণ’ ৮টি ব্লক হলো নামখানা, মথুরাপুর-২, সাগর, পাথরপ্রতিমা, মথুরাপুর-১, গোসাবা, কুলতলি এবং বাসন্তী। নামখানার ৪টি পঞ্চায়েত, মথুরাপুর-২-র ৪টি, সাগরের ৫টি, পাথরপ্রতিমার ১১টি, মথুরাপুর-১এর ২টি, গোসাবার ১৪টি, কুলতলির ৬টি এবং বাসন্তীর ৬টি পঞ্চায়েতের মানুষ ‘বিপদসঙ্কুল’ অবস্থায় রয়েছেন। তাঁদের সংখ্যা জেলা শাসকের রিপোর্ট অনুসারে ৮লক্ষ ৯৬হাজার ২৫৫।
এই রিপোর্ট আজ থেকে ৭বছর আগের। তারপর এলাকায় ঘটে গেছে অনেকগুলি প্রাকৃতিক দু্র্যোগ। তার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখ্য অবশ্যই করোনা মহামারী এবং তার ফলপ্রসূত লকডাউন। এইসব মিলিয়ে কাজ হারিয়েছেন আরও বহু মানুষ। হয়তো প্রাণও হারিয়েছেন অনেকে। কিন্তু আজও রাজ্য বা কেন্দ্র কোনও প্রশাসনেরই কোনও হেলদোল ঘটানো যায়নি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ওসিয়োনোগ্রাফিক স্টাডিজ-এর সুমনা ব্যানার্জি ও তুহিন ঘোষ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার পিটারমারিজবার্গের একটি উন্নয়ন সংস্থার ক্যাথেরিন ভিনসেন্টের সাম্প্রতিক গবেষণায় তাই কোভিড এবং সাইক্লোন পরবর্তী আরও দুর্বিষহ চিত্রই ফুটে উঠেছে। গবেষণাপত্রে তাঁরা লিখেছেন, আমফান এবং ইয়াসের পরে দ্বীপাঞ্চলের বাসিন্দাদের জীবন আরও সমস্যাসঙ্কুল হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সাইক্লোনের সংখ্যা আরও বাড়লে কী হবে!
ইউএনডিপি’র নিয়ম মেনে মানবজীবনে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব মূল্যায়ণ করে এই গবেষণাপত্রে লেখা হয়েছে, পানীয় জল, নিকাশি, বিদ্যুৎ এবং মোবাইল সংযোগ, সম্পদ ইত্যাদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতিতে নানা রোগে মৃত্যু বেড়েছে, অর্থাভাবে, মূল্যবৃদ্ধির কারণে এবং মজুত ও সরবরাহের অভাবে খাদ্যাভাব বেড়েছে। বাড়ির লাগোয়া জমিতে যে সবজিচাষ হতো, তা অনেক ক্ষেত্রে হচ্ছে না, নোনা জলে চাষের জমি তথা কৃষি উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, পুকুরের জলও নষ্ট হয়েছে। গবেষণায় দেখানো হয়েছে, লিঙ্গ বৈষম্য বেড়েছে অর্থনৈতিক সমস্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে। সুন্দরবন থেকে শিশুপাচার, বাল্যবিবাহ, মেয়েদের ওপরে হিংসার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এলপিজি মহার্ঘ হয়ে ওঠায় মহিলারা মাটির উনুন ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন, মহিলাদের পানীয় জলের জন্য আরও দূরান্তের ওপরে নির্ভর করতে হচ্ছে, এমনকি স্বাস্থ্যসম্মত শৌচালয়ের অভাবে মহিলারা জল কম পান করছেন এমনও দেখা গেছে। ঝড়ে ঘর ভাঙার পরে এখনও বহু মানুষ টেম্পোরারি কাঠামোর নিচে রাত কাটাচ্ছেন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, গঙ্গাসাগরের গুরুত্বের কারণে সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপিত করা হয়েছে। কিন্তু অন্যান্য দ্বীপের মানুষ দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎবিহীন কাটাতে বাধ্য হয়েছেন।
বামফ্রন্ট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ঘূর্ণিঝড় আয়লার পরে নিজে গিয়েছিলেন হিঙ্গলগঞ্জে, ত্রাণ ও পুনর্গঠন তদারকি করতে। তৎকালীন সিপিআই(এম) বিধায়ক ৭৫ বছর বয়সি গোপাল গায়েনকে কাদায় ফেলে নিগ্রহ করেছিল তৃণমূলের কর্মীরা। আর এখন? লকডাউন এবং ঘূর্ণিঝড়ের পরে দুর্বিষহ জীবনযাপন করা মানুষজন প্রতিবাদ করলে, প্রাপ্যের দাবি জানালে তাদের ওপরেই হামলা নামিয়ে আনা হচ্ছে।
Comments :0