হুগলির কুন্তিঘাট রেয়ন কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দেয় বদলি শ্রমিকদের ঠিকমত কাজ না দেওয়ায়। বদলি শ্রমিকদের অভিযোগ, মাসে আট দশ দিনের বেশি তাদের কাজ দেওয়া হয়না। ফলে পরিবার চালাতে সমস্যা হচ্ছে। কোম্পানীকে বলেও কোন লাভ হয়না। অথচ রোজ হাজিরা দিতে হয়। হাজিরা না দিলে কার্ড লক করে দেওয়া হয়। তখন আর কাজই পাওয়া যায়না। যে কারনে অন্য কোথাও কাজ করার উপায় নেই। আবার কারখানায় এসে বসে থাকলেও কাজ পাবার নিশ্চয়তা নেই।
এরই প্রতিবাদে বদলি শ্রমিকরা কারখানার স্পিনিং, অ্যাসিড প্ল্যান্ট, টেক্সটাইল সহ প্রায় সব বিভাগে কাজ বন্ধ করে দেয়। শুধু ব্রয়লার ও সিএস২ বিভাগ চালু আছে। বদলি শ্রমিকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে স্থায়ী শ্রমিকরাও কাজ করেনি। ফলে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে রেয়ন কারখানায়।
স্থায়ী শ্রমিকদের দাবী বদলি শ্রমিকরা কাজ করলে তাদের খাটনি কমে। নাহলে তাদের উপর চাপ পরে যায়।
রেয়ন কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে নোটিশ দেয়। বেআইনি স্ট্রাইক করার ফলে ষার লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে কোম্পানির। তারা কারখানার স্বীকৃত পাঁচটা ইউনিয়নকে চিঠি দেয়। আলোচনা করে সমস্যা মেটানোর জন্য। শ্রমিকরা যদিও তাদের নিয়মিত কাজের দাবিতে অনড়।
রেয়ন কারখানায় স্থায়ী বদলি ঠিকাদার নিযুক্ত মিলিয়ে প্রায় আড়াই হাজার শ্রমিক আছে।
অশান্তির আশঙ্কায় কারখানা গেটে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কেশরম রেয়ন কারখানার সিআইটিইউ নেতৃত্ব কুমুদ মালো জানান, কারখানায় আগে ২৪ টন সুতো তৈরি হতো। এখন তা কমে ৭ টন প্রোডাকশন হয়। কারখানার মালিকপক্ষ দাবি করেছেন যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাঁচামাল সরবরাহ কম রয়েছে। যেখানে এক সময় ৫২ টি মেশিন চলতো সেখানে এখন ২৭ টি মেশিনে সারে ১১ টন প্রোডাকশন হয়। আর যাকে ঘিরেই নতুন করে সমস্যা তৈরি হয়েছে। যারা কারখানার পার্মানেন্ট শ্রমিক তারা নিজেরাও এসে কাজ পাচ্ছে না সময় মতন। যার জন্য বদলি শ্রমিকদের কাজ কমে গেছে অনেকটাই। যে শ্রমিকরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তারাও রেয়ন কারখানার সাথে যুক্ত পাঁচটি ইউনিয়নের এই সদস্য। আমরা মনে করছি আলোচনা করে আগামী দিনে এই সমস্যার সমাধান হবে।
Comments :0