Kanthi TMCP Leader Surrenders

অবশেষে আত্মসমর্পণ ধর্ষণে অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্রনেতার

রাজ্য


বারবার কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেও জামিন পেল না পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি শহর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা শুভদীপ গিরি। অবশেষে ধরা দিল কাঁথি আদালতে। কাঁথির নাবালিকাকে ধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্ত প্রভাবশালী তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতার অশালীন আচরণে বেশ কিছুদিন ধরে নিন্দার ঝড় ওঠে সারা রাজ্যে, কাঁথিতে তো বটেই। 

তৃণমূলেরই সমর্থক পরিবার মেয়ের নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরব হতে বাধ্য হয়েছে। তাও থানায় ন্যায় মেলেনি। যেতে হয়েছে হাইকোর্টে। ছাত্রনেতার প্রভাব বৃহস্পতিবার টের পাওয়া গিয়েছে কাঁথির আদালত চত্বরেও। আসামিকে আদালত থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে আলাদা ব্যক্তিগত গাড়িতে চড়িয়ে।
কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করল না প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। গত সোমবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ আগের রায়ই বহাল রাখে। তার আগে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ অভিযুক্তকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিল।  


উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি কাঁথি থানায় তৃণমূল ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন তৃণমূলেরই সমর্থক ধর্ষিতা ওই ছাত্রীর বাবা। পুলিশের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট হয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় পরিবার। আদালত গত ১৯ জানুয়ারি অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিলেও কাঁথি মহিলা থানা এবং কাঁথি থানার আইসি শুভদীপকে গ্রেপ্তার করেনি। নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষে অভিযোগ,  তাদের উপর নানা ভাবে চাপ বাড়তে থাকে। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে নির্যাতিতার পরিবারের জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। তবে প্রভাবশালী ছাত্রনেতার হয়ে তৃণমূলের তরফে চাপ রাখা হয়েছে বলেই অভিযোগ পরিবারের। তা করা হয়েছে তৃণমূলেরই সমর্থক পরিবারের ওপর!  

নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, প্রভাবশালী তৃণমূল ছাত্র নেতা শুভদীপ গিরি নাবালিকার সঙ্গে বিয়ের অজুহাতে শারীরিক সম্পর্ক করেছিল। পরবর্তীকালে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। 

ঘটনার পর নির্যাতিতা আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বৃহস্পতিবার সকাল দশটা নাগাদ অভিযুক্ত শুভদীপ গিরি কাঁথি আদালতে সশরীরে আত্মসমর্পণ করে। কাঁথি আদালত অভিযুক্তকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। কাঁথি থানার পুলিশ কোনভাবেই অভিযুক্ত কে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়নি। 


হঠাৎ করে ঘড়ির কাঁটায় তখন বিকেল ৪টে। কাঁথি আদালত থেকে ডবলিউ বি ৩২ এ সি ৩৬২৪ নম্বরের ভূপতিনগর থানার একটি প্রাইভেট গাড়ি করে আসামিকে নিয়ে চলে যাওয়া হয়। প্রশ্ন উঠছে ব্যক্তিগতর গাড়িতে আসামিকে কি আদালত থেকে নিয়ে যাওয়া যায়?  অপরদিকে নির্যাতিতার আইনজীবী অসীম কুমার চক্রবর্তী বলেন, পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে। মহামান্য আদালত ন্যায় বিচার দেবেন।

Comments :0

Login to leave a comment