শুক্রবার আগরতলায় সাংবাদিক সম্মেলনে এই আশম্কা জানিয়েছেন সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়োচুরি। ১৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন ত্রিপুরায়। ইয়েচুরি নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে বলেছেন, এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সুষ্ঠু ভোট করানো সম্ভব। নাগরিকদের অবাধ ও স্বচ্ছ মতদানের সাংবিধানিক দায়িত্বও কমিশনের।
ইয়েচুরি জানিয়েছেন, শুক্রবারই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করবে সিপিআই(এম)’র প্রতিনিধিদল। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর সঙ্গেই ছিলেন পার্টির ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদক জীতেন্দ্র চৌধুরী। সিপিআই(এম)’র দাবি, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে নির্বাচন করাতে হবে। বিজেপি রয়েছে এমন রাজ্যের বাহিনী তুলে এনে নয়।
এই প্রসঙ্গে ইয়েচুরি বলেছেন, ‘‘দেশজুড়ে নির্বাচনের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনী পাওয়ার সমস্যা হতে পারে। এই পর্যায়ে নির্বাচন হচ্ছে কেবল তিন রাজ্যে। ফলে এখন কেন্দ্রীয় বাহিনী পাওয়া সমস্যা নয়। বিজেপি’র রাজ্য থেকে বাহিনী থুলে এনে ভোট করানো যাবে না। ভয় দেখানো হচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে। তা ঠেকাতে হলে কেন্দ্রীয় বাহিনীকেই কাজে লাগাতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।’’
গত দু’দিন ধরে ত্রিপুরাতেই রয়েছেন ইয়েচুরি। নির্বাচনী জনসভাও করছেন। ইয়েচুরি বলেছেন, ‘‘মানুষের মেজাজ পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। এগিয়ে এসে বলছেন এই সরকারের পরিবর্তন করুন। লাগাতার নিপীড়ন, লাগাতার হেনস্তা থেকে মুক্তি চাইছেন তাঁরা। মুক্তি চাইছেন লাগাতার অশান্তির শাসন থেকে। সেই কারণেই বিজেপি বেপরোয়া।’’
সরাসরি বিজেপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলেছেন ইয়েচুরি। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা অমিত শাহ কয়েকদিন আগেই জনসভা করেছেন। রাজ্যের ওপর নজরও রেখেছেন।
ইয়েচুরি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার সরাসরি জড়িত টাকা ছড়ানোর কাজে। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থার অপব্যবহরা চলছে। বেপরোয়া চেষ্টা শুরু করেছে বিজেপি, মানুষের মেজাজ বুঝতে পেরেছে বলেই। টাকা ছড়িয়ে, পেশীবল কাজে লাগিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ভোটে জিততে চাইছে।’’ কমিশনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, ভোেটর আগের তিন দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওই সময় গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা হবে।
ত্রিপুরার বিজেপি সরকার যে প্রশাসনকে ব্যবহার করছে সরাসরি বলেছেন ইয়েচুরি। তিনি বলেন, ‘‘ভয়-ভীতি, সন্ত্রাস বা টাকা ছড়ানো চলতে পারে না যদি না রাজ্যের প্রশাসনের মদত থাকে। ফলে দায়িত্ব নিতে হবে নির্বাচন কমিশনকেই।’’
ইয়েচুরি বলেন, ‘‘কেবল বুথেই নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখলে হয় না। মানুষ যাতে ভয় ভেঙে ভোট দিতে আসেন তার জন্য আস্থা তৈরি করার কাজ করে নির্বাচন কমিশন। অতীতে কমিশন সেই দায়িত্ব বিভিন্ন সময় পালন করেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে এলাকায় এলাকায় মার্চ করে। যাতে মানুষের মধ্যে আস্থা তৈরি হয়।’’
Comments :0