ফের নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোহ উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায়। এগারো বছরের এক স্কুলছাত্রীর হাত-পা বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল খোদ পিসেমশাইয়ের বিরুদ্ধে। ওই নাবালিকা ঠাকুরমার সাথে পিসির বাড়ি নিমন্ত্রণ খেতে গিয়েছিল। সেখানেই সে পিসেমশায়ের লোভের শিকার হয়। এ বিষয়ে চোপড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতার বাবা।  অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে চোপড়া থানার পুলিশ। 
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ অক্টোবর পিসেমশাই ওই নাবালিকাকে বেড়াতে নিয়ে যান। তারপর বাড়ি থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে একটি নির্জন বাগানে নাবালিকার হাত পা বেঁধেধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ঘৃণ্য ঘটনাটি কাউকে জানালে  প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। দুদিন পরে ঠাকুরমার সাথে বাড়ি ফিরে আসে ওই নির্যাতিতা নাবালিকা। তারপর সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এমনকি তার রক্তপাত শুরু হয়। ক্রমশ শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তারপর ওই নাবালিকা পিসেমশাইয়ের কুকৃতির কথা জানায়। এমনকি তাকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলে যে হুমকি দেওয়া হয়েছিল তাতে সে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। এরপর বৃহস্পতিবার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চোপড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ছাত্রীর বাবা। অভিযোগের ভিত্তিতে যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ বিষয়ে ইসলামপুর পুলিশ জেলা সুপার জোবি থমাস জানান, ওই নাবালিকার পরিবার থেকে অভিযোগ পেয়েছি।  তাদেরই এক আত্মীয় এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। পোকসো আইনে মামলাটি রুজু করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
ঘটনাপ্রসঙ্গে সিপিআই(এম) উত্তর দিনাজপুর জেলা সম্পাদক আনোয়ারুল হক বলেন, ‘‘রাজ্যে আইনের শাসন নেই। ধর্ষকদের আড়াল করছে রাজ্যের তৃণমূল সরকার। ফলে ঘৃণ্য অপরাধ করতে পিছ পা হয় না দুষ্কৃতীরা। তারই প্রতিফলন ঘটছে সমাজে। এই ঘটনাও তার ব্যতিক্রম নয়। পুলিশ শাসক দলের দলদাসের কাজ না করে নিরপেক্ষভাবে কাজ করলে সমাজে অপরাধ কমবে। অপরাধীরা অপরাধ করার আগে পরিনাম নিয়ে ভাববে। আমরা এই ঘটনার অভিযুক্তের কঠিনতম সাজার দাবি জানাচ্ছি।’’