BIMAN BASU GARIA

পরিজন, আত্মীয়দের কাছেও বার্তা পৌঁছানোর আহ্বান বিমান বসুর

রাজ্য লোকসভা ২০২৪

শনিবার গড়িয়া শীতলা মন্দিরে জনসভায় বলছেন বিমান বসু।

ফ্যাসিবাদ কায়েম করার ব্যবস্থা চলছে। দেশের প্রধানমন্ত্রীর কথায় তা স্পষ্ট। আর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কথা শুনলে মনে হচ্ছে না এটি দেশের ভোট। এই সময়েই দেশ বাঁচানোর লড়াইয়ে বামপন্থীরা। এ জন্যই ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চ। তাকে জয়ী করার বার্তা পৌঁছে দিতে হবে আত্মীয় পরিজনদের কাছেও। 
শনিবার গড়িয়ায় ‘১২ই জুলাই কমিটি’র ডাকে জনসভায় এই আহ্বানই জানালেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। প্রবীণ অংশের বহু নাগরিকই যোগ দেন জনসভায়। যাদবপুরের বামফ্রন্ট মনোনীত এবং কংগ্রেস সমর্থিত সিপিআই(এম) প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যকে জয়ী করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।   
বসু বলেছেন, ‘‘মানুষের জীবন যন্ত্রণা একটুও কমেনি নরেন্দ্র মোদীর মেয়াদে। আর দেশের প্রধানমন্ত্রী বলছেন সংবাদমাধ্যমে যে তিনি জৈবিক প্রক্রিয়ায় পৃথিবীতে আসেননি। ঈশ্বরের দূত হয়ে এসেছেন। ভাবতে পারছেন? কোনও দেশের রাষ্ট্রপ্রধান বলেন?’’ 


বসু সতর্ক করে বলেন, ‘‘আসলে এর পিছনে ফ্যাসিবাদী মনোভাব রয়েছে। গণতান্ত্রিক বিধি ব্যবস্থাকে হরণ করার কৌশল। নিজেকে ঈশ্বরপ্রেরিত ঘোষণা করছেন।’’
নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘রিপোর্ট যা মিলছে, দেখা যাচ্ছে, দক্ষিণে একমাত্র অন্ধ্র প্রদেশ ছাড়া অন্য জায়গায় এনডিএ’র ভালো ফল করার সম্ভাবনা নেই। পাশের রাজ্য বিহারেও সম্ভাবনা নেই। হরিয়ানায় কম আসন পাওয়ার সম্ভাবনা। উত্তর প্রদেশ ৮০ আসন, হৈ হৈ করে জেতার মতো অবস্থায় নেই বিজেপি। ফলে এখানেই সুযোগ তৈরি হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চের সরকার গড়ার।’’
মুখ্যমন্ত্রীর প্রচার প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘তৃণমূল যা প্রচার করছে, শুনলে মনে হয় না এটা লোকসভা নির্বাচন। মনে হচ্ছে যেন রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে। নীতির প্রশ্ন নেই। কী করা হবে দিল্লিতে তা নিয়ে আলোচনা নেই। একবার বললেন ‘ইন্ডিয়া’-য় নেই। আরেকবার বললেন ‘ইন্ডিয়া’-কে বাইরে থেকে সমর্থন করছি।’’ 
বসু বলেন, ‘‘যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে বামফ্রন্ট মনোনীত সিপিআই(এম) প্রার্থী এবং জাতীয় কংগ্রেস সমর্থিত সৃজন ভট্টাচার্য। এই লোকসভার ভোটদাতারা তাঁকে ভোট দিন। পরিবার পরিজনদের মাঝেও এই বক্তব্য পৌঁছে দেবেন।’’ 
এবারের নির্বাচনের সঙ্গে বিগত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতার তুলনা টানেন তিনি। বসু বলেন, ‘‘২০১৬-তে বাইনারি হয়নি। কিন্তু ২০১৯-এ হলো দুই পক্ষ। ২০২১ সালেও তাই। তাই ২০২১ সালের পর থেকে আলাপ আলোচনা করে স্থানীয় বিষয়ে আন্দোলন করেছি বামপন্থীরা। সরকারটা যেভাবে চোর বাটপারে ভরে গিয়েছে তার বিরোধিতায় আন্দোলন করেছি আমরা। আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে জনতার মধ্যে গিয়েছি, যাঁরা সরে ছিলেন তাঁদের সংঘবদ্ধ করার কাজে খানিক সফল চাই। অত্যাচারিত মানুষ বলেছেন ‘ইনসাফ চাই’। তাই ইনসাফ যাত্রা করে সারা রাজ্যের মানুষের কাছে বার্তা পৌঁছে দিয়ে তারপর নির্বাচনী লড়াইয়ে আমরা নেমেছি।’’

Comments :0

Login to leave a comment