Kasba Rape Case

কসবা কান্ডে ডিএনএ সংগ্রহ করলো পুলিশ

রাজ্য কলকাতা

কসবা কান্ডে নির্যাতীতা সব তিন অভিযুক্তের ডিএনএ’র নমুনা সংগ্রহ করলো পুলিশ। লালবাজার সূত্রে খবর এই চারজনের ডিএনএ’র নমুনা পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য। বুধবার রাতে বিজন সেতুর সামনে সাউথ কলকাতা ল’কলেজে গণধর্ষণের শিকার হয় এক পড়ুয়া। তার অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা হয় তিনজনকে। মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র ওই কলেজের টিএমসিপি ইউনিটের প্রাক্তন সভাপতি, বর্তমানে কলেজের অস্থায়ী কর্মী। অভিযোগ সে এবং দুজন ছাত্র এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আলিপুর আদালতে তিনজনকে পেশ করা হলে মঙ্গলবার পর্যন্ত পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এদিন সকালে কলেজে যায় জাতীয় মহিলা কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল। অভিযোগ তাদের সাথে সহযোগীতা করেনি কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা। উল্লেখ্য শনিবার নির্যাতীতাকে কলেজে নিয়ে গিয়ে গোটা ঘটনার পুননির্মান করেন তদন্তকারি আধিকারিকরা।
অন্যদিকে এই ঘটনার তদন্তের জন্য সিট গঠন করা হয়েছিল কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে। নেতৃত্বে কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ শহরতলি) প্রদীপকুমার ঘোষাল। প্রথমে পাঁচজনের সিট গঠন করা হলেও রবিবার তার সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আরও চারজন পুলিশ আধিকারিককে সিটে যুক্ত করা হয়েছে।
নির্যাতীতার বয়ান অনুযায়ী গত বুধবার রাতে তাকে মনোজিৎ এবং বাকি দুই অভিযুক্ত ইউনিয়ন রুমে যৌন হেনস্তা করে। তারপর তাকে গার্ড রুমে নিয়ে গিয়ে কুপ্রস্তাব দেয়। নির্যাতীতাতে তাতে রাজি না হলে তখন তিনজন তাকে গণধর্ষণ করে এবং গোটা বিষয়টা ভিডিও করে। হুমকি দেয় কোথাও জানালে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। ঘটনার পর নির্যাতীতা কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে বৃহস্পতিবার রাতেই আটক করে কসবা থানা। হয়েছে নির্যাতীতার শারিরীক পরীক্ষাও। 
শুক্রবার আদালতে অভিযুক্তদের আইনজীবী দাবি করেন যে তাদের ফাঁসানো হচ্ছে কলেজের রাজনীতির কারণে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সেই ভাবে কোন প্রমান নেই। 
উল্লেখ্য রাজ্যের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় গুলোয় বন্ধ ছাত্র সংসদ নির্বাচন। ছাত্র সংসদ নেই কিন্তু ছাত্র সংসদ গুলোকে দখল করে সেই গুলোকে ব্যবহার করে একের পর এক অনৈতিক কাজ চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠছে শাসক দলের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে। কলকাতার বিভিন্ন কলেজে ভর্তি হওয়ার সময় টাকা নেওয়া বা অন্য কোন অনৈতিক কাজ সব কিছুতে অভিযুক্ত তৃণমুল ছাত্র পরিষদ। রাজ্য সরকার প্রতিবছর বলে আসছে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোন দিন তারা ঘোষণা করতে পারছে না। ছাত্র ছাত্রীদের যেই অধিকার একটা গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ পাওয়ার সেখান থেকে তার বঞ্চিত থাকছে। আর এই সুযোগে কলেজ ক্যাম্পাস গুলোকে গুন্ডাদের আঁখড়ায় পরিনত করছে তৃণমূল।

Comments :0

Login to leave a comment