General Strike

ধর্মঘটে শামিল হবেন কোচবিহার জেলার বিড়ি শ্রমিকরাও

জেলা

ধর্মঘটকে সফল করতে কোচবিহার শহরে গুরুত্বপূর্ণ সভায় বিড়ি শ্রমিকরা।

তামান্নার খুনে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, দক্ষিণ কলকাতার ল' কলেজে ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার সাথে যুক্ত ও অভয়া কাণ্ডে মূল দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি সহ বিড়ি শ্রমিকদের ৬দিনের কাজের সুনিশ্চিতিকরণ, ন্যায্য মজুরির পাশাপাশি একাধিক দাবিকে সামনে রেখে ও সর্বোপরি বিড়ি শিল্পকে বাঁচাতে ৯ জুলাই দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘটে শামিল হতে যাচ্ছেন কোচবিহার জেলার বিড়ি শ্রমিকরা।
সংশ্লিষ্ট দাবিগুলি নিয়ে আন্দোলনকে তীব্র থেকে তীব্র থেকে তীব্রতর করা সহ ঐক্যবদ্ধ ভাবে সাধারণ ধর্মঘটকে সফল করবার উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যেই এক বৃহত্তর সভাতে মিলিত হয়েছিল কোচবিহার জেলা বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়ন। এই সভা থেকেই ধর্মঘটকে সফল করার শপথ গ্রহণ করেন বিড়ি শ্রমিকরা।
৬০বছর বয়স বা তার আগে কোন বিড়ি শ্রমিক  প্রয়াত হলে তার শেষকৃত্য এবং পারলৌকিক কাজের জন্য এককালীন অনুদান পেতেন বিড়ি শ্রমিক পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু আজ তা থেকে বঞ্চিত তারা। সঠিক সময়ে গৃহ নির্মাণের বরাদ্দ টাকা পাচ্ছেন না বিড়ি শ্রমিকরা। হচ্ছে না তাদের পেনশন বৃদ্ধি। আজও সকল বিড়ি শ্রমিকের জন্য প্রভিডেন্ট ফান্ড করা হয়নি।  রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকার থাকাকালীন প্রতিবছর নিয়ম করে স্কলারশিপ পেতেন এই বিড়ি শ্রমিক পরিবারের স্কুল পড়ুয়ারা, কিন্তু ২০১০সালের পর থেকে তা বন্ধ হয়ে গেছে।
এছাড়াও বিগত কয়েক বছর যাবত পরিচয় পত্র দেওয়া হচ্ছে না প্রকৃত বিড়ি শ্রমিকদের। এই যাবত কালে প্রসবকালীন ভাতা থেকেও বঞ্চিত মহিলা বিড়ি শ্রমিকরা। মূলত কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের শ্রমিক বিরোধী নীতির কারণেই এই সমস্ত সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বিড়ি শ্রমিকরা। কার্যত নিজেদের অর্জিত অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে তাদের। এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে এই সাধারণ ধর্মঘটকে সফল করা অত্যন্ত জরুরী। এই সাধারণ ধর্মঘট সফল করতে রাস্তায় নামবেন বিড়ি শ্রমিকেরা  বলে জানান কোচবিহার জেলা বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের কোচবিহার জেলা সম্পাদক গৌরাঙ্গ আদিত্য।

Comments :0

Login to leave a comment