কসবা কান্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে মামলা দায়ের হলো সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে মামলা করেছেন সত্যম সিং নামে একজন আইনজীবী। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে মামলা। কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে গোটা বিষয়ের তদন্ত চলছে। 
সাউথ কলকাতা ল’কলেজে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের তিনজন কর্মীর বিরুদ্ধে। যেই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার মধ্যে মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ ওই কলেজের টিএমসিপি ইউনিটের সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে কলেজের অস্থায়ী কর্মী এবং সক্রিয় তৃণমূল কর্মী। জানা যাচ্ছে কলেজের গভার্নিং বডির অনুমোদনেই তার এই চাকরি হয়েছে।
অভিযোগ গত বুধবার রাতে নির্যাতীতাকে মনোজিৎ এবং বাকি দুই অভিযুক্ত ইউনিয়ন রুমে যৌন হেনস্তা করে। তারপর তাকে গার্ড রুমে নিয়ে গিয়ে কুপ্রস্তাব দেয়। নির্যাতীতাতে তাতে রাজি না হলে তখন তিনজন তাকে গণধর্ষণ করে এবং গোটা বিষয়টা ভিডিও করে। হুমকি দেয় কোথাও জানালে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। নির্যাতীতা কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে বৃহস্পতিবার রাতেই আটক করে কসবা থানা। হয়েছে নির্যাতীতার শারিরীক পরীক্ষাও। অভিযুক্তদের শুক্রবার পেশ করা হয় আলিপুর আদালতে। মঙ্গলবার পর্যন্ত তিনজনকে পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন নিম্ন আদালত।
উল্লেখ্য সম্প্রতি আরজি কর কান্ডেও সিবিআই তদন্তের সাক্ষী থেকেছে রাজ্য। ওই ঘটনার প্রথম থেকেই কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠেছে। নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে বার বার তদন্ত নিয়ে সংশয় প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু আদালতের নজরদারিতে যেই সিবিআই তদন্ত হয়েছে তাতে সেই একই রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে যা কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল। একটি গণধর্ষণের ঘটনায় মাত্র একজনকে দোষী হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে বার বার দাবি করে আসা হয়েছে যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারির সংস্থার তদন্তে তারা খুশি নয়। তাদের সাথে সেই ভাবে কোন সহযোগীতা করা হয়নি বলেও জানানো হয়েছে।