Dangerous Dead Tree

বিপদজনক মরা গাছ রাস্তার উপর ঝুঁকে, আতঙ্কে এলাকাবাসী

জেলা

Dangerous Dead Tree ছবি: বিপদজনক হাসনাবাদ নেবুখালি রোডে মরা গাছ।



বারবার প্রশাসনের দরজায় কড়া নেড়েছি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে হাতজোড় করে বলেছি। কিন্তু কোন সুরাহা আজও হলো না। তাই বাধ্য হয়ে জীবন হাতে নিয়ে চলাচল করি আমরা। সংবাদমাধ্যম থেকে জানতে পারি এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে গাছের শুকনো ডাল ভেঙে গুরুতর আহত হচ্ছেন। প্রাণ পর্যন্ত চলে যাচ্ছে। আমাদেরও সেই ভয় নিয়েই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। এমনই অভিযোগ এলাকার মানুষের।

প্রত্যন্ত সুন্দরবন অঞ্চলের হাসনাবাদ থেকে লেবুখালী পর্যন্ত প্রায় ত্রিশ কিলোমিটার রাস্তা সুন্দরবনবাসীর কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। এই রাস্তা দিয়ে দুটি রুটের বাস, অটো, ইঞ্জিন ভ্যান সহ বিভিন্ন ধরনের ছোট বড় ট্রাক যাতায়াত করে। গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তার উভয় পাশে রয়েছে প্রচুর গাছ। এই প্রচুর গাছের মধ্যে রয়েছে প্রায় দুশোটি মরা গাছ। দুশোটি মরা গাছের বড় বড় ও মোটা মোটা ডালপালা বিপদজনক ভাবে রাস্তার উপর ঝুঁকে রয়েছে। যেকোনো সময় মরা গাছের শুকনো বড় বড় ডাল রাস্তার উপর পড়ে ঘটতে পারে বড়সড়ো বিপত্তি। গত কয়েক মাসে টাকি রোড, হাড়োয়া রোড, যশোর রোড সহ বেশ কয়েকটি রোডে এইরকম ভাবে মৃত গাছের শুকনো ডাল আচমকা ভেঙে রাস্তার উপর পড়ায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর পাশাপাশি গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে। মর্মান্তিক মৃত্যুর পর সরকারের টনক নড়েছিলো। 

তারপরই সেই সমস্ত রোডে উপর মৃত গাছ কাটতে উদ্যোগী হয় প্রশাসন। কিন্তু হাসনাবাদ লেবুখালী রোডের এই গাছগুলো কাটার দাবি করছেন এলাকার বাসিন্দা ও গাড়ি চালকেরা। তাদের দাবি যে কোন সময় শুকনো ডালপালা রাস্তার উপর ভেঙে ঘটতে পারে বড় বিপত্তি। সরকার যদি এর উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেয় তাহলে যেকোনো সময় প্রাণ চলে যেতে পারে আমাদের। এমনটাই দাবি স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে রাস্তা দিয়ে চলাচলকারি গাড়ি চালকদের। হরিপদ দাস,  সঞ্জয় মন্ডলের মত এলাকার অনেক বাসিন্দারাই জানান, কালিবাড়ি, বরুনহাট সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় এই সমস্ত গাছগুলো কাটার জন্য আমরা সরকার ও জনপ্রতিনিধিদের জানিয়েছে বেশ কয়েকবার। কিন্তু তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। 

আমাদের খুব ভয়ে ভয়ে যাতায়াত করতে হয় রাস্তা দিয়ে। এই গাছগুলো যদি সরকারি উদ্যোগে কাটা হয় তাহলে নিরাপদে যাতায়াত করতে পারি। অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে নিয়ে হিঙ্গলগঞ্জের বিধায়ক বলেন, এই গাছগুলো পিডব্লিউডি ও বনদপ্তরের অধীনে রয়েছে। আমরা ওদের অনেকবার অনুরোধ করেছি কিন্তু ওরা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আমি বিধায়ক হিসাবে এবার ওদের চিঠি দিয়ে এই গাছগুলো কাটার জন্য অনুরোধ করব।

 

 

Comments :0

Login to leave a comment