আমেরিকার বোমাবর্ষণের পর বরাবরের বন্ধু দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করলেন ইরানের রাষ্ট্রপতি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে প্রায় পঁয়তাল্লিশ মিনিট কথা হয়েছে ইরানের রাষ্ট্রপতি মাসুদ পেজেসকিয়ানের। মোদী জানিয়েছেন যে সংঘাত প্রশমনের বার্তা ফের দিয়েছে ভারত।
আমেরিকা বোমা ফেলেছে ইরানের নাতানজ, ইশফাহান এবং পাহাড়ে ঘেরা ফোরডো পরমাণু কেন্দ্রে। এর আগে ইজরায়েলও এই কেন্দ্রগুলিতে আক্রমণ শানিয়েছিল। ইরান পরমাণু কর্মসূচি চালায় বোমা তৈরির জন্য নয়। এই মর্মে আন্তর্জাতিক মঞ্চে একাধিক বিবৃতি দিয়েছে সেই দেশ। অসামরিক কাজে শক্তি উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা হয়ে পরমাণু শক্তি, বলেছে ইরান। 
সরকারি সূত্রের উল্লেখ করে সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে যে ইরানের অবস্থান এবং পরিস্থিতি বিশদে মোদীকে জানিয়েছেন পেজেসকিয়ান। মোদী বলেছেন, ‘‘ইরানের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিশদে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছি। এখনই সংঘাত প্রশমনের অবস্থান জানিয়েছি আমরা।’’
মোদী বলেছেন, ‘‘কূটনীতি এবং আলোচনা প্রক্রিয়াই দ্বন্দ্ব নিরসনের একমাত্র পথ। এই অঞ্চলে দ্রুত শান্তি এবং স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্যও দরকার আলোচনা প্রক্রিয়া।’’
এদিকে বিশ্বশান্তির সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে চিহ্নিত আমেরিকা হুমকি দিয়েই চলেছে। বোমাবর্ষণের পর সেদেশের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘হয় শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। অথবা ইরানকে ভয়ঙ্কর যন্ত্রণার মুখোমুখি হতে হবে। গত আটদিনে যা হয়েছে এই ক্ষতি হবে তার কয়েকগুণ।’’ 
ফলে প্রশ্ন উঠেছে ট্রাম্পকে সংঘাত প্রশমনের জন্য আদৌ কিছু বলবেন কিনা। কারণ আমেরিকার মদতেই গত ১৩ জুন ইরানের ওপর হামলা চালায় ইজরায়েল। তবে ইরানের পালটা হামলায় ইজরায়েলকে গুরুতর ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। গাজার পর ইরানে হামলা চালিয়েও দেশের মধ্যে সমালোচনার হাত থেকে নিস্তার পাচ্ছেন না সেদেশের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।