Dengue

ডেঙ্গুতে যুবকের মৃত্যু, আতঙ্কে ভালুক কুন্ডু গ্রাম

রাজ্য

Dengue

চিন্ময় কর- পশ্চিম মেদিনীপুর


বৃহস্পতিবার সকালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কলেজ পড়ুয়া এক যুবকের মৃত্যু হয় দুর্গাপুরে। রাতেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের বসনছোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ভালুক কুন্ডু গ্রামের ধনঞ্জয় প্রধানের নাতির মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে। শুক্রবার এই খবর জানিয়েছেন গ্রামবাসীরাই। এই ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে ভূগছে পুরো গ্রাম। কোনো কোনো  বাড়িতে ৩ থেকে ৫ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত।  আবার কোথাও আরো বেশী। বেশীর ভাগ ঘরে ঝুলছে তালা, কারণ সবাই ডেঙ্গু উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। গত ১০ দিন ধরে ডেঙ্গু সংক্রমণ দেখা দেয়। এক জনের মৃত্যুর পর গ্রামে পৌছায় প্রসাশন। তাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় গ্রামের মানুষ। তাদের অভিযোগ আট দিন আগে আশা কর্মীরা রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। তবুও প্রসাশনের তরফে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি এমনকি দেওয়া হয়নি কোনো সতর্ক বার্তাও। তাদের আরো অভিযোগ ডেঙ্গু নিয়ে প্রশাসন উদাসীন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না স্বাস্থ্য দপ্তর।


গ্রামের বাসিন্দা শক্তি পড়্যা বলেন, ইতিমধ্যে জ্বর উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রচুর গ্রামের মানুষজন। ‘‘তাঁর স্ত্রী ছেলে মেয়ে ও বয়স্ক মা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে চারদিন হাসপাতালে ভর্তি। গ্রামের ধনঞ্জয় প্রধানের নাতি বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালে মারা গেছেন। তিনিও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ছিলেন। তবে ডেঙ্গুর কারণে মৃত্যু হয়েছেকিনা তা জানিনা।  ছেলেটি পরিযায়ী শ্রমিক ছিলেন। ঘরে ফিরে আসে ১২ দিন আগে। তাঁর পরিবারের সকলেরই জ্বর। ঘরেই চিকিৎসা চলছিলো। গোটা গ্রামের মানুষ জ্বরে কাবু হলেও প্রসাশনের দেখা মিলেনি’’।
গ্রামের আরেক বাসিন্দা রানু সর্দারের অভিযোগের সুরে বলেন, ‘‘আট দিন আগে আশা কর্মীরা খবর পাঠায়। কিন্তু সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ছেলেটার মৃত্যুর পর ডাক্তার গ্রামে আসে প্রসাশনের লোকজন আসে খোঁজ নিতে। বেশীর ভাগ ঘরে তো তালা। সবাই অসুস্থ হয়ে হাসপাতলে’’।

স্বাস্থ্য দপ্তর রিপোর্টে উল্লেখ করে জানিয়েছে, ভালুককুন্ডু গ্রামে প্রচুর মানুষের ডেঙ্গু ধরা পড়েছে। ইতিমধ্যে জ্বর উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রচুর গ্রামের মানুষজন। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারীক বলেন, এখনো পর্যন্ত ১৪৫ জনের ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা চলছে।
 

Comments :0

Login to leave a comment