Siliguri Flower Market

সিকিম বিপর্যয়ের প্রভাব শিলিগুড়ির ফুলবাজারে

জেলা

দীপাবলি উপলক্ষে শনিবার শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোডের ফুটপাতে ফুলের বাজার। ছবি রাজু ভট্টাচার্য


সিকিম বিপর্যয় প্রভাব ফেলেছে শিলিগুড়ি শহরের ফুলবাজারগুলিতে। শিলিগুড়ি শহরের বিভিন্ন ফুলের বাজারগুলোতে বিক্রি আগের মতো নেই। ফুলের যোগান ভালো থাকলেও বিক্রি সেইরকম নেই। শহরের বিভিন্ন ফুল বাজারের ফুল ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এমনটাই জানা গেছে। দীপাবলীতে প্রদীপ সহ রকমারি লাইটের আলোর পাশাপাশি প্রতিবছর ফুলেরও বড় রকমের একটা চাহিদা থাকে। সিকিম বিপর্যয়ের কারণে শহরের ফুলবাজারগুলিতে ফুল বিক্রি অনেকটাই কমেছে। দীপাবলী সহ ভাইফোঁটা উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর যে বিপুল পরিমান ফুল সিকিমে পাঠানো হতো এবছর তা যায়নি। সেই তুলনায় একেবারে সামান্য পরিমান ফুল গেছে সিকিমে। দার্জিলিঙ পাহাড়েও এবছর প্রয়োজনের থেকে সামান্যই ফুল ব্যবসায়ীরা ক্রয় করেছে। দার্জিলিঙ পাহাড় লাগোয়া সমতলের শিলিগুড়ি থেকে প্রতিবেশী রাজ্য নেপালেও প্রচুর পরিমান ফুল যায়। কিন্তু নেপালে ফুল ও বাজি নিষিদ্ধ হওয়ায় এবছর শিলিগুড়ির ফুল পাড়ি দেয়নি। বড় বড় ফুল ব্যবসায়ী যারা প্রতিবছর শিলিগুড়িতে পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে ফুল কিনতে আসেন। তারা আসেননি। ফোনে যোগাযোগ করা হলেও সেই সমস্ত ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এবছর সাড়া মেলেনি। সিকিম দুর্ঘটনার কারণে অনেকেই এবছর ফুল লাগাবেন না। স্বাভাবিকভাবেই শহরে ফুলের বাজারগুলোতে ফুলের বিক্রি অন্যান্য বছরের চাইতে অনেকটাই কমে গেছে। চলতি বছর একটু দেরিতে পুজো হওয়ায় অনেক বেশী আমদানি থাকলেও রপ্তানি না হওয়ায় ক্ষতির মুখ দেখতে হচ্ছে ফুল ব্যবসায়ীদের। শিলিগুড়ির বিভিন্ন বাজারে ফুলের দামের রকমভেদ রয়েছে এবছর। শিলিগুড়ি শহরের বিভিন্ন ফুল বাজারের দোকানগুলিতে কোথাও ১০ থেকে ২০ টাকায় গাঁদা ফুলের একটি চেইন মিললেও আবার কোথাও ২০০ টাকাতে ১০টি চেইন পাওয়া যাচ্ছে। দামের হেরফের থাকলেও বছরে একবার ঘর সাজাতে শহরবাসীরা যে যার সাধ্য অনুযায়ী ফুল কিনছেন।

 

Comments :0

Login to leave a comment