Gas Cylinder Explosion

বাদুড়িয়ায় গ্যাস সিলিন্ডার ফেট জখম পাঁচ, ছবি তুলতে বাঁধা

জেলা

গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে গুরুতর আহত পাঁচজন। আহতদের প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তড়িঘড়ি কলকাতার কোন এক বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। গোটা ঘটনা পর্বের ছবি তুলতে বাঁধা দেওয়া হয় সাংবাদিকদের। ঘটনাস্থলে স্হানীয় মানুষকেও ছবি তুলতে দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ। পুলিশ ছাড়া সংবাদমাধ্যম সহ স্হানীয় মানুষকে কেন ছবি তুলতে দেওয়া হলো না? কিসের এত গোপনীয়তা? ফায়ার ব্রিগেড ঘটনাস্থলে গেলে তখনও ছবি তুলতে বাঁধা। কেন এই লুকোছাপা? সূত্রের খবর বেআইনি গ্যাস ফিলিং সেন্টারে এই ভয়াবহ কান্ডটি ঘটে রবিবার রাত ১১টা নাগাদ। পুলিশ কিছু বলতে না চাইলেও স্থানীয় সূত্রে খবর বাদুড়িয়া থানার বাগজোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের জঙ্গলপুর এলাকায় খাবারের দোকানের আড়ালে চলতো গ্যাস ফিলিং সেন্টারটি‌। সেখানে অটো, মারুতি ইত্যাদি বিভিন্ন যানবাহনে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার থেকে গ্যাস ফিলিংয়ের কাজ চালিয়ে আসছেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। রবিবার রাতে তেমনি একটি চার চাকার গাড়িতে গ্যাস ফিলিংয়ের সময় আচমকা গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে যায় এবং দোকান ও পার্শ্ববর্তী ভাঙাচোরা দোকানে আগুন লেগে যায়। গুরুতর আহত হয় পাঁচ জন। তাদেরকে রুদ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এই খবর সংগ্রহ করতে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকরা পৌঁছালে তাদেরকে ছবি তুলতে বাঁধা দেওয়া হয়। রুদ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে যখন গুরুতর আহত পাঁচজনকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তখনও  ছবি তুলতে বাঁধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আগুন নেভাতে দমকল ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তখনও ছবি তুলতে বাঁধা দেওয়া হয়। গোটা ঘটনাক্রমে পুলিশ থাকে নীরব দর্শক। তবে কী এই অবৈধ গ্যাস ফিলিং সেন্টারটির কথা পুলিশ আগে থেকেই জানতো? যিনি এই অবৈধ ব্যবসাটি করছেন তিনি কী শাসকদলের প্রভাবশালী কেউ? সেকারণেই কী পুলিশের এ হেন নীরবতা? উঠছে এমনই প্রশ্ন। গুরুতর আহত পাঁচজন তারা কারা,তারা কোথায় আছে, বেঁচে আছে তো? সবটাই ধোঁয়াসার মধ্যে আবদ্ধ বলে সোমবার স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।

Comments :0

Login to leave a comment