INDIA USA DIALOGUE

আমেরিকার সঙ্গে আলোচনায় সন্ত্রাসবাদে জোর ভারতের

জাতীয়

কথা হয়েছে অর্থনৈতিক সমঝোতা থেকে সামরিক সমঝোতা নিয়ে। কথা হয়েছে সন্ত্রাসবাদ দমনের প্রয়োজনীয়তায় গুরুত্ব দিয়েও। তবে ভারতের পক্ষে আমেরিকার সঙ্গে মন্ত্রীপর্যায়ের বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে জোর দেওয়া হলো সন্ত্রাসবাদ দমনে।
খালিস্তানপন্থী সক্রিয়তা বেড়ে যাওয়ায় আমেরিকার কাছে কানাডার নামে নালিশও জানালো ভারত। শুক্রবার দ্বিপাক্ষিক মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পর দিল্লিতে এমনই দাবি জানিয়েছেন বিদেশ সচিব বিনয় কাত্রা। কানাডার মাটিতে খালিস্তানপন্থী সক্রিয়তায় উদ্বেগ জানিয়েছে ভারত। 
ভারতে বিভিন্ন অংশ এই বৈঠকের বিরোধিতা করছেন। সিপিআই(এম)-সহ পাঁচ বামপন্থী দল যৌথ বিবৃতি দিয়ে আলোচনা প্রক্রিয়া চলাকালীন দেশজুড়ে বিক্ষোভেরও ডাক দিয়েছে। বামপন্থীদের বক্তব্য, সন্ত্রাসবাদ দমনের নামে গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইজরায়েল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মদতেই বরাবরের মতো এবারও অমানবিক আগ্রাসন চালাচ্ছে ইজরায়েলের সরকার। রাষ্ট্রসঙ্ঘে বিপুল সংখ্যাধিক্যে পাশ হয়েছে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব। ভারত আমেরিকার অনুচরবৃত্তি করে ভোটদানে বিরত থেকেছে। এখন মার্কিন সকারের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে। উল্লেখ্য, কলকাতার মতো বিভিন্ন শহরে মিছিল থেকে যুদ্ধবিরতির পক্ষে পদক্ষেপের জন্য কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে দাবি তুলেছে ভারত। 
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। 
কাত্রা বলেছেন, ‘‘আমাদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। আমেরিকা আমাদের উদ্বেগ বুঝতে পেরেছে।’’ তিনি বলেছেন, ‘‘একটি ভিডিও সামনে এসেছে। তা থেকে বোঝা যাচ্ছে আমরা কেন উদ্বিগ্ন।’’
সম্প্রতি শিখ ফর জাস্টিস নামে একটি সংগঠনের নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুম ওই ভিডিও বার্তায় ১৯ নভেম্বরের পর থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে উঠতে বারণ করেছে। বলা হয়েছে, ১৯ নভেম্বরের পর থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে চড়লে প্রাণ সংশয় হতে পারে।
ভারতের সঙ্গে কানাডার সম্পর্কে গুরুতর সমস্যা হয়েছে হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যার ঘটনায়। খালিস্তানপন্থী নিজ্জরকে খুন করা হয়েছে কানাডার মাটিতে। ঘটনায় ভারতের যোগ থাকার অভিযোগ তোলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। অটোয়ায় ভারতীয় দূতাবাস থেকে প্রতিনিধিকে বহিষ্কারও করে কানাডা। তার পালটা ভারত দিল্লিতে কানাডার দূতাবাস থেকে কূটনীতিকদের সরানোর নির্দেশ দেয়। ৪১ জন কূটনীতিককে তাঁদের পরিবার সমেত সরিয়ে নিয়েছে কানাডা।  
কাত্রা জানিয়েছেন, দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় অর্থনৈতিক সমঝোতা এবং সন্ত্রাসবাদ গুরুত্ব পেয়েছে। দুই ক্ষেত্রেই পারস্পরিক সমন্বয়ে জোর দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। 
সন্ত্রাসবাদকে নিকেশ করার যুক্তিতে প্রধানমন্ত্রী ইজরায়েলের আগ্রাসনকে সরাসরি সমর্থন জানিয়েছিলেন ৭ অক্টোবর।

Comments :0

Login to leave a comment