Bandel Church

সকাল থেকেই ব্যান্ডেল চার্চে ভিড় জমাচ্ছেন সাধারণ মানুষ

রাজ্য

রয়েছে করোনার ভ্রুকুটি। কিন্তু বড়দিনের সকালে থেকে ভিড়ে ঠাসা ব্যন্ডেল চার্চ। সারা রাজ্যের বিভিন্ন গির্জার সঙ্গে বড়দিনের সাজে সেজে উঠছে হুগলি জেলার ঐতিহ্যবাহী ব্যান্ডেল চার্চ বা ব্যান্ডেল ব্যাসিলিকা। ১৫৯৯ সালে ব্যান্ডেলে বাণিজ্য করতে এসে এই গির্জা নির্মাণ করে পর্তুগিজরা। ভারতবর্ষের প্রাচীন গির্জার মধ্যে ব্যান্ডেল চার্চ অন্যতম। সারা বছরই প্রচুর মানুষ বিভিন্ন জায়গা থেকে এই শতাব্দি প্রাচীন ব্যান্ডেল চার্চ দেখতে বা ঘুরতে আসেন। আর বড়দিনে তো ভিড় উপচে পড়ে। ভিড় সামলানোর জন্য বড়দিন অর্থাৎ ২৫শে ডিসেম্বর এবং ১লা জানুয়ারি দর্শকদের জন্য বন্ধ থাকে ব্যান্ডেল চার্চের মূল ফটক। তবে এবছর গীর্জার মূল ফটক খুলে দিয়েছে।

গোটা বিশ্বে নতুন করে ভয় ধরাচ্ছে চীন সহ কয়েকটি দেশের করোনার সংক্রমন। ভারতেও নতুন প্রজাতির খোঁজ মিলতেই সতর্ক সরকার। হুগলি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাস্ক পরার কথা, সোশ্যাল ডিসটেন্সিং মানা, হাত ধোয়ার অভ্যাস ফিরিয়ে আনার কথা বলা হচ্ছে।

জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারীক রমা ভুঁইয়া জানান,‘‘আগের করোনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার ব্লক স্তরের হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা ব্যাবস্থা রাখা হয়েছে। ব্লক হাসপাতাল গুলোতে পাঁচটি করে বেড থাকছে। বড় হাসপাতালে আইসিইউ সহ দশটি বেড রাখা থাকছে। করোনা চিকিৎসার জন্য।’’

গত এক সপ্তাহে দুজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন জেলায়। হাসপাতালে করোনা আক্রান্তের রোগী না থাকলেও তবু ঝুঁকি নিতে চাইছে না স্বাস্থ্য অধিকারিকরা। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমন কমে যাওয়ায় বুস্টার ডোজ নেওয়ার ক্ষেত্রে অনিহা দেখা দিয়েছে। হুগলি জেলায় করোনা ভ্যক্সিনের দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন  ৪৩ লক্ষ্য মানুষ। বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ১১ লক্ষ্য। বুস্টারের সংখ্যাটা অনেক টাই কম। রমা ভুঁইয়া বলেন,যাদের কোমর্বিডিটি আছে এবং প্রবীন নাগরিক তাদের বুস্টার নিতে হবে নিজেদের জন্যই। 

Comments :0

Login to leave a comment