INFLATION RBI CONGRESS

চড়া দামই সঙ্কট অর্থনীতির, ক্ষোভ কংগ্রেসের

জাতীয়

দামের জ্বালা সামান্য কমলেও জনজীবনে স্বস্তি অনেক দূরে। এমনই আশঙ্কা রিজার্ভ ব্যাঙ্কেরও। সুদের হার অপরিবর্তিত রাখা হলো মূল্যবৃদ্ধির শঙ্কাতেই। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্টকে হাতিয়ার করে নরেন্দ্র মোদী সরকারের তীক্ষ্ণ সমালোচনা করল কংগ্রেস। 

মুদ্রানীতি কমিটির দ্বিমাসিক বৈঠকের পর জানানো হয়েছে ‘রেপো রেট’ ৬.৫ শতাংশই রাখা হচ্ছে। যে হারে সব বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক ধারের বিনিময়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে সুদ দেয় তাকে বলে ‘রেপো রেট’। এই হার কমলে ব্যাঙ্ক থেকে গ্রাহকদের কম সুদে ধার পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। ব্যাঙ্কঋণ বাড়লে আবার নগদের জোগান অর্থনীতিতে বেড়ে যায়। তার ফলে মূল্যবৃদ্ধির সম্ভাবনা করা হয়। 

যদিও অর্থনীতিবিদ এবং বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মূল্যবৃদ্ধি থামাতে ভারতের মতো অর্থনীতিতে চড়া সুদের হার রাখার বিপক্ষে। তাঁদের মত, ভারতে চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে না। মুনাফা এবং উৎপাদন খরচ তার জন্য দায়ী। সুদের হার চড়া থাকলে অর্থনীতিতে চাহিদা আরও কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

আগস্টে ক্রেতা মূল্য সূচক ছিল ৬.৮৩ শতাংশ। সামনের সপ্তাহে সেপ্টেম্বরের সূচক প্রকাশ পাবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মধ্যমেয়াদী লক্ষ্য ক্রেতা মূল্য সূচক বা সাধারণ যে দামে বাজার থেকে কেনাকাটি করেন, তার বৃদ্ধির হার ৪ শতাংশে বেঁধে রাখা। 

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘‘চড়া মূল্যবৃদ্ধিই এখন অর্থনীতির স্থিতিশীলতার পক্ষে প্রধান সমস্যা। মূল্যবৃদ্ধি এই হারে চালু থাকলে সমস্যা হবে স্থিতিশীল বৃদ্ধিতেও।’’ তিনি মনে করছেন সেপ্টেম্বরে কিছুটা কমবে ক্রেতা মূল্য সূচক বৃদ্ধির হার।  

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পরই কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ কেন্দ্রের সরকারের সমালোচনায় সরব হন। তিনি বলেছেন, ‘‘রিজার্ভ ব্যাঙ্কের লক্ষ্যমাত্রা ৪ শতাংশের চেয়ে অনেকটা বেশি মূল্যবৃদ্ধির হার। ক্রেতা মূল্য সূচক চড়া স্তরে রয়েছে গত ৪৭ মাস ধরে। জনজীবনে সত্যিকারের সঙ্কট ধরা পড়ে না সূচকে। কিন্তু তাতেও বোঝা যাচ্ছে কী কঠিন সঙ্কটে দিন কাটাতে হচ্ছে দেশবাসী বিপুল অংশকে।’’    

Comments :0

Login to leave a comment